নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চোরখালি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক জন বিক্রয় প্রতিনিধিকে মারধোরের ঘটনা শালিশ বৈঠকে মীমাংশার দুই ঘন্টা পরই দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় একটি বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আহতদেরকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পৌরসভার চোরখালি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মফিদুল শেখ সমর্থিত বিক্রয় প্রতিনিধি আলিম শেখকে (২৮) প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আকুব্বর মোল্যা সমর্থিত বাহাদুর শেখ মারধোর করে।
এ নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় উভয় পক্ষের মাতুব্বরসহ আশপাশের তিন গ্রামের লোকজনের উপস্থিতিতে সৃষ্ট ঘটনা মীমাংশার জন্য চোরখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শালিসী সভার আয়োজন করা হয়। আলাপ-আলোচনা শেষে সভায় বিরোধ মীমাংশা করা হয় এবং এ নিয়ে কোন পক্ষ দ্বন্ধ-সংঘাত করবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন।
শালিশে ঘটনার মীমাংশার পর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল,সড়কি, লাঠিসোঠা নিয়ে ওই গ্রামের ভাটাপাড়া সংলগ্ন মাঠে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় লাভলী বেগম, নাহার বেগম, মিনা বেগম, মফিদুল শেখ, কাশেম শেখ, ইয়াকুব শেখ, খায়রুল আলমসহ ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় বাবলু শেখের বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বলেন, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com