নীলফামারীতে উত্তরা শশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বারে বাশেঁর বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে জমি দখলকরার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ স্থানীয়রা। জমি দখলের ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুরে। এ ঘটনায় সরকারি জমি দখলকারীর বিচার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা।
রোববার ( ১৭ জুলাই/২২) দুপুরে সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নে অবস্থিত উত্তরা শশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রধান প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হয়েছে।ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদু্যূসায়ী সদস্য মোঃমেহেরুল্লাহ শাহ ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উত্তরা শশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উত্তরা শশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান প্রবেশদ্বার একটি। শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের একমাত্র রাস্তা অবৈধ ভাবে দখল করে বেড়া লাগান স্থানীয় সিন্ডিকেট মোঃ মোক্তার হোসেন সহ তার দলবল। কিসের বলে তিনি রাস্তা বন্ধকরলেন আমরাবুঝলাম না।
শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের পার্শে প্রায় ১২ শত পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তাএটি। রাস্তা বন্ধ করায়বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছে। তাই আমরা এর দ্রুতসমাধান চাই।উত্তরা শশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃআতাউল্লাহ শাহ ফকির বলেন, আমি ও আমার মামা ইনছান সরকার ১৯৮৮ সালে চাপড়া মৌজা থেকে ৫০ শতকজমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে দান করি। সেইসাথে উত্তরা মৌজা থেকে আমার বাবা মৃত জবানউল্লাহ শাহফকির ও আমার বড় ভাই মৃত নজিবুল্লাহ শাহ ফকির ৫০ শতক জমি স্কুলের নামে দান করেন। এখানে তাদের জমি কোথায়?
তিান আরও বলেন, মাধ্যমিক ও প্রাইমারী মিলে প্রায় ৫ শত শিক্ষার্থীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর প্রভাব পরবে। তারা যদি জমি পায় তাহলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথেবসে মাপযোগের মাধ্যমে জমি নেবে।এভাবে জোড় খাটিয়ে জমি দখল করা উচিৎ হয়নি। তাই উর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষের কাছে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিনিত অনুরোধ জানাই।উত্তরা শশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধানপ্রবেশদ্বার বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করেছেন স্থানীয় মোক্তার হোসেন ও তার দলবল। এটি কতটা যৌক্তিক বুঝতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেব। সরকারি জমি ও প্রতিষ্ঠান রক্ষায় তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Development by: webnewsdesign.com