টাঙ্গাইলে অসহায় মধ্যবয়সী নারী খুশি বেগমকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় মূলহোতা রনিসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের শহরের শিমুলতলী বাসা থেকে তাদের আটক করে টাঙ্গাইল মডেল থানা-পুলিশ।
আটকরা হচ্ছেন রনি, তার ভাই রুবেল, বোন চাদনী ও রনির স্ত্রী শিউলী। টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুশি বেগমের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন খুশি বেগম। অভিযোগে তিনি জানান, টাঙ্গাইল শহরের শিমুলতলি এলাকায় বাসা ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় ভাড়াটিয়া তাকে বেধড়ক পেটিয়েছেন। এরা হলেন বাসার মালিক রনি, তার ভাই রুবেল, বোন চাদনী, রনির স্ত্রী শিউলী। বুধবার বিকেলে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে রনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করেন।
খুশি বেগম আরো জানান, শহরের শিমুলতলি মান্নান উকিলের বাসায় খুশি বেগম, সাজেদা বেগমসহ চার মহিলা বাসা ভাড়া করে থাকতেন। গত তিন মাস আগে সাজেদা বেগমসহ দুজন পালিয়ে যায়। পরে খুশি বেগমের বাসা ভাড়া দিতে কষ্ট হওয়ায় মান্নান উকিলের বাসা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত মাসে বাসা ছেড়ে দেওয়ার সময় খুশি বেগমের কাছে বাসা ভাড়া দাবি করেন রনি। তিন হাজার টাকা মধ্যে দুই হাজার টাকা পরিশোধ করেন খুশি। বাকি এক হাজার টাকার পরিবর্তে খুশি বেগমের টিভি রেখে দেন রনি। গত বুধবার সে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভাড়ার অবশিষ্ট টাকা দাবি করেন রনি। টাকা দিতে না পারায় রনিসহ পরিবারের সদস্যরা চুল ধরে টেনে তাদের বাসায় নিয়ে যান। কক্ষের দরজা বন্ধ করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটান।
এ সময় তার কাছে থাকা দুই হাজার টাকা ও দুটি কানের দুল খুলে নেন রনির পরিবারের সদস্যরা। পরে সে কাঁদতে কাঁদতে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার সনদ আনতে পাঠান। হাসপাতাল থেকে সনদ আনার সময় তার হাতে থাকা সনদ ছিনিয়ে নেয় রনিসহ ৭ থেকে ৮ জন লোক। এরপরও কৌশলে হাসপাতালের নার্সের সহযোগিতায় কিছু ওষুধ লিখে নিয়ে চলে আসেন।
Development by: webnewsdesign.com