নরসিংদী শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের অত্যন্ত গরীব মোঃ হারুন মিয়ার নাবালিকা কন্যা লতিফা আক্তারকে নিয়ে পালিয়ে যায় তার বড় মেয়ের জামাতা সবুজ মিয়া।জানা গেছে, ৪ বছর পূর্বে মাধবদী পৌর এলাকার টাটাপাড়া মহল্লার জাকারিয়া মিয়ার পুত্র সবুজ মিয়ার সাথে হারুন মিয়ার কন্যা রাকিবা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সবুজ মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিল। তাদের সংসারে ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান এবং ২ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
সবুজ মিয়া শ্বশুর বাড়ির পাশের পুটিয়া কামারগাও গ্রামে অবস্থিত রাজ্জাক টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের কাজ করত। গত ১ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় শ্বশুর বাড়ি ফাকা পেয়ে সবুজ মিয়া তার নাবালিকা শ্যালিকা লতিফা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যায়। লতিফাকে বাড়িতে না পাওয়ায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখোজি করে না পেয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করে।
লতিফা আক্তারের মাতা রাশিদা বেগম জানান, আমার বড় মেয়েটির দুটি সন্তানের কথা চিন্তা না করে মেয়ের জামাই এমন একটি কাজ করতে পারল? এখন আমার দুটি মেয়েরই বা কি হবে, গরিব মানুষ, এখন কি করব,আমি দুচোখে অন্ধকার দেখছি।এ ব্যাপারে রাকিবা ও লতিফার পিতা, মাতা নাবালিকা মেয়ে লতিফা আক্তারকে উদ্ধারের ব্যাপারে শিবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও শিবপুর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Development by: webnewsdesign.com