নবীগঞ্জ উপজেলার বড়ভাকৈড়র পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাপুর তারুণ্যের চোখে স্বদেশ সংগঠন অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার নামে ব্যারিস্টার সুমনকে প্রধান অতিথি দেখিয়ে প্রবাসীদের কাছে থেকে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সাম্প্রতি সময়ে অনলাইন ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তারুণ্যের চোখে স্বদেশ নামে একটি সংগঠন।
রচনা প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সুমন প্রধান অতিথি থাকবেন বলে প্রচার করে সংগঠনটি। ব্যারিস্টার সুমন নবীগঞ্জ উপজেলার মফস্বলের সোনাপুর এলাকায় আসবেন, গ্রামের মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবেন এমন মনোভাব নিয়ে আগ্রহী হয়ে প্রবাসীরা পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সফল করার জন্য প্রবাসীরা ব্যাপক টাকা দেন উদ্যোক্তা নাজমুল হকের কাছে। কিন্তু টাকা সংগ্রহ করে জানানো হয় ব্যারিস্টার সুমন আসবেন না।
এনিয়ে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। রচনা প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের নাম নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। ১২শ শব্দের মধ্য রচনা লেখার নিয়ম থাকলে ও বিজয়ীদের রচনা ১৭/২৩ শ শব্দের রচনাকে অর্থের বিনিময়ে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে ও অভিযোগ রয়েছে। বিজয়ীরা রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজকদের বিশেষ কারো আত্মীয় বলে দাবি করছেন এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে তরুণ্যের চোখে স্বদেশ ফেসবুক গ্রুপে লেখালেখি করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পোস্ট ও কমেন্ট ডিলেট করে দেওয়া হয়। প্রবাসী ভলেন্টিয়ার ও মেয়ে ভলান্টিয়ার এর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে নাজমুল হক এবং ক্যাশিয়ার বাবলু দাশের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারুণ্যের চোখে স্বদেশ এর অর্থ বাণিজ্য সকল ভলান্টিয়ার ও প্রবাসীদের মাঝে সন্দেহ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এনিয়ে এলাকায় একটি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বার বার তারুণ্যের চোখে স্বদেশ এর উদ্যোক্তা নাজমুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ফোন কেটে দেন।
Development by: webnewsdesign.com