দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শাল্টিমুরাদপুর গ্রামের মোঃ আতিকুর রহমানসহ আরো ৩জন অভিযোগ করে বলেন,ভাদুরিয়া বাজার সংলগ্ন মৃত আবুল কালাম এর মেয়ে সাহেলা আক্তার সঠিক কাগজপত্রাদি দাখিল না করে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল করে সম্পুর্ণ অবৈধ ভাবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরিতে যোগদান করেন।
তিনি অভিযোগ পত্রে আরো বলেন, মৃত আবুল কালামের মেয়ে সাহেলা আক্তার গত ১৫/০৯/২০১৪ ইং তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এতে পরিস্কার ভাবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে যে, মৌখিক পরিক্ষার সময় পোষ্য সনদ দাখিল করতে হবে কিন্তু প্রার্থীর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে ০১/০২/২০১৩ইং তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক পোষ্য সনদ পত্র নেয়া হয়েছে ১৬/১০/২০১৮ইং তারিখে পোষ্য সনদপত্রটি সংযুক্তজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, দিনাজপুর মহোদয়ের নিয়োগ আদেশের যাহার স্বারক নম্বর জে,প্রা,শি,অ/দিনাজ/স:শি:নি:২০১৪/১৩৯২(১৭৫)/৩২।
যাহার তারিখ ২০/০৯/২০১৮ এবং বিদ্যালয়ের অনুমতি পত্রের স্বারক নম্বর জে,প্রা,শি,অ/দিনাজ/স:শি:নি/২০১৪/২০১৮-১৪২৯/৪ তারিখ ২৭/০৯/২০১৮ মোতাবেক সাহেলা আক্তার পিতা মৃত আবুল কালাম ,গ্রামও ডাকঘর ভাদুরিয়া উপজেলা নবাবগঞ্জ জেলা দিনাাজপুর অত্র উপজেলার হরিনাথপুর(হা:) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সরকারি নিষেধ বিধি অমান্য করে এবং তথ্য গোপন করে চাকুরি লাভ করেন।
উল্লেখ থাকে যে, তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম(এ টি ও) সঠিক তদন্ত না করেই রহস্যজনক কারনে এক জন বিবাহিত মহিলার পোষ্য সনদ প্রদান করেন। যেখানে উল্লেখ আছে যে বিবাহের র্পৃবে যদি কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকার অবিবাহিত সন্তান থাকে তাহলে তাকে পোষ্য হিসেবে গণ্য করা হবে। কিন্তু বিবাহের প্রায় দেড় বছর পর একজন শিক্ষকের মেয়েকে পোষ্য সনদ প্রদান করে থাকেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
এ ব্যাপারে হরিনাথপুর(হাঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, যখন যোগদান করার জন্য বিদ্যালয়ে আসে তখন সাহেলার সঙ্গে দুজন আসছিল তাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলে যে আমার এক জন শশুর অন্যজন দুলাভাই। বিয়ের ব্যপারে জানতে চাইলে বলে আমার প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি তদন্তকরে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষক সাহেলা আকতারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পোষ্য সনদ গ্রহনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দুইজন উপজেলা সহশিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।আগামী ২ ডিসেম্বর উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, সহকারী শিক্ষিকার পোষ্য সনদের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ছাড়াও ওই অভিযোগটি বিভিন্নদপ্তরে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন।
Development by: webnewsdesign.com