ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ   

রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ৫:১৪ অপরাহ্ণ

ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ   
apps

দুয়েকদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একাধিক নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসব নিম্নচাপের যেকোনো একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ৩/৪ দিনের মধ্যে ‘জাওয়াদ’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক বার্তাও দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল (বিডব্লিউটি)।

এর প্রভাবে সিলেটে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার দিনভর সিলেটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখা গেছে। আজকালের মধ্যেই বৃষ্টি নামতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে একাধিক নিম্নচাপের কারণে শনিবার সকাল থেকে সিলেটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আজকালের মধ্যে বৃষ্টি নামলে শীত নামতে বিলম্ব হতে পারে।

শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে মেঘ-বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তাই আপাতত শীত নামার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানান তারা।

শনিবার সকাল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় মেঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই হালকা বৃষ্টি ও মেঘলা অবস্থা আগামী ১৫/১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সঙ্গে বৃষ্টিও থাকতে পারে। সারাদিন ধরে বৃষ্টি হবে এমন নয়, গুঁড়ি গুঁড়ি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ সময়ে বৃষ্টির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে- পূবালী ও পশ্চিমা বায়ুর সংযোগে এই বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আপাতত রাতের তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। দিনে আকাশে মেঘ থাকলে তাপমাত্রা কমে যাবে। শনিবার মেঘ থাকায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। রোববার তাপমাত্রা হয়তো একটু বাড়বে। সোমবার হয়তো একটু কমবে। সার্বিকভাবে আপাতত রাতের তাপমাত্রা কমবে না। যেহেতু মেঘলা আকাশ, ফলে কোথাও কোথাও রাতে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান ও কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি শক্তিশালী হয়ে সর্বোচ্চ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এটিও ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যেতে পারে। আমাদের এদিকে এর প্রভাব পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ১৫ থেকে ১৬ নভেম্বরের ভেতর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পরিবেশ আসতে যাচ্ছে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এটি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে পরিণত হবে। যা ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার আওতায় থাকতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলগুলো হলো ব্রাহ্মপুর, শ্রীকাকুলাম ও বিশাখাপাত্নাম।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে থাকতে পারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা, বাংলাদেশের সুন্দরবন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকাগুলো। পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলাকেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে হাতিয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কুতুবদিয়া এবং ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ড এলাকায়। শনিবার সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Development by: webnewsdesign.com