যশোর পৃুলেরহাট কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দি রাজু আহমেদ (১৬) পালিয়েছে। সোমবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিলো। কিশোরকে নিয়ে আসা আনসার সদস্য ও মেডিকেল সহকারীরর গাফিলতির সুযোগে সে মাইক্রোবাস থেকে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় আনসার সদস্য অসিত দুরে দাঁড়িয়ে ধুমপান করছিলেন। আর ওষুধ কেনার নামে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন মেডিকেল সহকারী নজির আহমেদ। পলাতক রাজু ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দেবকিনন্দপুর গ্রামের ওহাব বিশ্বাসের ছেলে। ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের একটি সূত্র জানিয়েছে, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের কয়েকজন বন্দি মিলে রোববার রাজুকে মারপিট করে। এরপর সে অসুস্থবোধ (বুকের ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট) করছিলো। যে কারণে সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাসে করে (ঢাকা মেট্টো-চ-৫১-৫০৬৩) তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বর্হিবিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সোলায়মান কবিরের কাছে নেয়া হয়। তিনি চিকিৎসাসেবা দেন। তার সাথে ছিলেন মেডিকেল সহকারী নজির আহমেদ ও আনসার সদস্য অসিত বিশ্বাস। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসাসেবার পর রাজুকে মাইক্রোবাসে ওঠানোর পর জানালা লক করে নজির আহমেদ ওষুধ কেনার নামে শহরে ব্যক্তিগত কাজ সারছিলেন।
আর আনসার সদস্য অসিত বিশ্বাস দুরে দাঁড়িয়ে ধুমপান করছিলেন। ঠিক এই মুহুর্তে সুযোগটি কাজে লাগায় রাজু। সে কৌশলে মাইক্রোবাসের জানালার লক খুলে পালিয়ে যায়। সে বোয়ালমারি থানার পেয়াজ চুরি মামলার (মামলা নম্বর ১৭, তারিখ- ২১-০৮-২০২০, ধারা-৪৫৮/৩৮০) আসামি। কিছুদিন আগে তাকে বোয়ালমারি থেকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে ধুমপানে যাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আনসার সদস্য অসিত বিশ্বাস জানান, তাকে ধাক্কা দিয়ে ওই বন্দি কিশোর পালিয়ে গেছে। আর মেডিকেল সহকারী নজির আহমেদ বন্দির জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
ঘটনার পরই এই বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে অনলাইন মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। বিকেল ৫টার পর যোগাযোগের কথা বলেও পরে আর ফোন রিসিভ করেননি। সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ খবর না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের এক বন্দি কিশোর আনসার সদস্যের হেফাজত থেকে পালিয়েছে বলে শুনেছি। এই বিষয়ে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন জিডি করেছেন। যার নম্বর ১৭৯৯।
Development by: webnewsdesign.com