দৌলতপুর মহিষকুন্ডিতে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত আলীমকে রাজশাহীতে রেফার্ড

মামলা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি

সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০ | ৫:০৫ অপরাহ্ণ

দৌলতপুর মহিষকুন্ডিতে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত আলীমকে রাজশাহীতে রেফার্ড
apps

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মহিষকুন্ডি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত আব্দুল আলিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার ঘটনায় পুলিশ ৪নং আসামি লাল চাদকে আটক করলেও প্রধান তিন আসামি এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে। এমনকি আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগির পরিবার। আর এসবের পিছনে রয়েছে মাদকের শেল্টার দাতা মাদকের টাকা উত্তোলনকারী কথিত এক বড় ভাই। যার নিয়ন্ত্রণে চলে দৌলতপুর সীমান্তে মাদক ব্যবসা। তদন্ত করলেই মিলবে তার সত্যতা।

উল্লেখ্য, গত ২৩/১০/২০২০ শুক্রবার বিকেল তিনটার সময় মহিষ কুন্ডি এলাকার আব্দুল আলিম নামের এক ব্যক্তি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে মহিষ কুন্ডি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে কথিত কিছু মাদক ব্যবসায়ী রুবেল হালসানা, হৃদয় হালসানা, সুকচাদ হালসানা ও লালচাঁদ হালসানা সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিন জন ব্যক্তি আব্দুল আলীমকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্দুল আলীমের উপরে চালাই অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা।আব্দুল আলীমের অপরাধ ছিল শুধু তাদের মাদক ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো।তার কারণেই তার উপরে নেমে আসে এই বর্বরোচিত নগ্ন হামলা। লাঠিসোটা রড ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে কথিত ওই সন্ত্রাসীরা।

এক পর্যায়ে আঘাত সইতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আব্দুল আলিম। পরবর্তীতে আব্দুল আলীমের মৃত্যু ঘটেছে মনে করে হামলাকারীরা আব্দুল আলিমকে সেখানে ফেলে রেখেই স্থান ত্যাগ করে। পরে বাজারের স্থানীয় লোকজন সহ আব্দুল আলীমের পরিবারের লোকজন বাস স্ট্যান্ড থেকে আহত অবস্থায় আব্দুল আলীমকে উদ্ধার করে নিয়ে ভর্তি করে দৌলতপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানা যায় আহত ব্যক্তি আব্দুল আলীমের হাতুড়ির আঘাতে বুকের এক পাশের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। এমন অবস্থায় হামলার শিকার আব্দুল আলীমের মা মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নাম্বার – ৫৯) আব্দুল আলীমের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায় তার ছেলে আব্দুল আলীম একজন দিনমজুর লেবার মাত্র। তার ছেলে সারাদিন লেবারি করে যে কয় টাকা পায় তাই দিয়ে চলে তার সংসার।

কিন্তু বাড়ির পাশেই সন্ত্রাসীদের এই মাদকের রমরমা ব্যবসা দেখে বাধা দেয় আব্দুল আলিম।যার কারণেই ষড়যন্ত্র করে আব্দুল আলীমের উপর সন্ত্রাসীরা চালিয়েছে এমন হামলা।

উক্ত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা হোক বলে জানান আব্দুল আলীমের মা মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন।

অন্যদিকে দৌলতপুর উপজেলার মহিষ কুন্ডি গ্রামে সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, সন্ত্রাসী রুবেল হালসানা, হৃদয় হালসানা, সুকচাদ হালসানা ও লালচাঁদ হালসানা সহ বেশ কয়েকজনের একটি চক্র মাদককে কেন্দ্র করে এলাকাতে বিভিন্ন সময় ঘটিয়ে চলেছে নানা বিধি অনৈতিক ঘটনা। যেটা আদোও এলাকাবাসীর কাম্য নয়। এমন অবস্থায় তাদের লাগাম টেনে ধরা হয়েছে বড় দায়।

গত কয়েকদিন আগেও ওই একই এলাকার সেলিম বিশ্বাস নামে একজন ব্যক্তিকে বেধড়কভাবে পিটাই এই একই সন্ত্রাসীরা। তার ও অপরাধ ছিল তাদের মাদক ব্যবসায়ে বাধা দেওয়া। জানা যায়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রশাসনের কাছে মুখ খুললে অথবা তাদের কাজে বাধা দিলে এলাকার লোকজনের ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন।

তাই এলাকার সচেতন মহল মনে করছে এখনই যদি এদেরকে না থামানো যায় পরবর্তী সময়ে এরা ঘটাতে পারে যেকোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা।

Development by: webnewsdesign.com