দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আসা ১৪টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারা দেশে ৬টি অভিযান করেছে কমিশন। বাকি ৮টি অভিযোগের সমাধানে দফতরে পত্র পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এস অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে পাহাড় কেটে ইটভাটা তৈরি করে পরিবেশ ও প্রতিবেশীর ক্ষতিসাধনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ থেকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদক টিম উল্লিখিত দুই উপজেলায় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, স্থানীয় পাহাড়ের মাটি কেটেই ইটভাটাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে, যা পরিবেশের ভয়াবহ রকমের ক্ষতিসাধন করছে। টিম অভিযানকালে দেখে, উক্ত এলাকার পাহাড়সমূহের প্রায় পুরোটাই ইটভাটার কবলে চলে গেছে। এ অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দায় নির্ধারণে ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও আঠারদানা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৮ বছর ধরে শিক্ষা ছুটিতে থেকেও নিয়মবহির্ভূতভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছন, এরূপ অভিযোগে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিনে, অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক টিম। নথিপত্র যাচাই এবং বিশ্লেষণ করে টিম জানতে পারে, উল্লেখিত শিক্ষক স্বাস্থ্য ছুটি দেখিয়ে ৩ দফায় মোট ৮ বছর যাবত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে এবং বিদ্যালয়ে পাঠদান না করেই বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। যা সার্বিক পর্যালোচনায় চরম দায়িত্বে অবহেলা ও বেআইনিভাবে সরকারি সম্পদের আত্মসাৎ করেছেন মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। এ অনিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।
ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে কাবিখা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গফরগাঁও উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করে একই টিম।
বাংলাদেশ বিমানের কার্গো ভিলেজে কার্গো হ্যান্ডলিং ও পণ্য খালাসে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। অভিযানকালে টিম বিমান থেকে আগত অধিকাংশ শিপমেন্ট খোলা আকাশের নিচে রাখা, কার্গো ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে যত্রতত্র মালামাল স্টোর করে রাখা, ডেইলি বেসিস লেবার দিয়ে শিপমেন্টের মালামাল লোড-আনলোড করানোর ফলে মালামাল চুরি ও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে কোনো দায়দায়িত্ব না থাকাসহ বেশ কিছু অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এ অনিয়মসমূহ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এছাড়াও মাদারীপুর বিআরটিএতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, কাগজপত্র নবায়নসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে এবং ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্মসনদ সংশোধনে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী থেকে দু’টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com