চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্রী শবনম জেবি দোলা চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আপাতত দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বুধবার রাতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি দেশে ফিরে দেশ এবং পরিবারকে বিপদে না ফেলার জন্য অনুরোধ করেন।
শবনম জেবি চীনের জেজিয়াং প্রদেশের হুজো শহরের হুজো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দেশে থাকতে তিনি সিলেটের নাট্য সংগঠন ‘একদল ফিনিক্স’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায়।
ভিডিও বার্তায় শবনম বলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। হুজো সিটির সঙ্গে অন্য শহরগুলোর যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূল ফটকসহ সব ফটক বন্ধ। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে প্রায় বন্দি অবস্থায় আছেন শিক্ষার্থীরা। সবাইকে ডরমিটরির (আবাসিক হল) বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদেরও ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই তাঁদের খাবার সরবরাহ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।
ফেসবুক লাইভে এসে শবনম জেবি আরো বলেন, ‘আমি জেনেছি চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ টিকিটও কিনে ফেলেছেন। তবে সবার প্রতি অনুরোধ, এই মুহূর্তে দেশে ফিরবেন না। এখানেই থাকুন। এখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। আপাতত দেশে গিয়ে দেশকে ও নিজের পরিবারকে বিপদে ফেলবেন না।’
করোনাভাইরাস সম্পর্কে শবনম বলেন, ‘এই ভাইরাস মানুষের হাঁচি থেকে ছড়াচ্ছে। কেউ আক্রান্ত একজনের পাশে গেলেও আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।’
শবনম বলেন, ‘আমরা যদি ১০০ জন মানুষ দেশে যাই, এর মধ্যে যদি তিন-চারজন মানুষও আক্রান্ত হন, তাহলেই কিন্তু দেশে অনেক বড় বিপর্যয় নিয়ে আসবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমারও কিন্তু ভয় হচ্ছে। প্রতিদিন মনে হচ্ছে বাংলাদেশে চলে যাই। পরিবারের সাথে থাকি। কিন্তু ভাবতে হবে, আমরা যে মানুষগুলোকে ভালোবাসি, আমাদের পরিবার, বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব; নিজের অজান্তেই কিন্তু নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সর্বোপরি নিজের দেশকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারি। চীন চেষ্টা করছে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে। আক্রান্ত হলে এখানে উন্নত চিকিৎসা পাব।’
Development by: webnewsdesign.com