জাদুকরী ফুটবলে পুরো বিশ্বকে মাতিয়ে ছিলেন। আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ। একটা সময় ডিয়েগো ম্যারাডোনা পেয়ে যান কিংবদন্তির মর্যাদা। ৬০ বছর বয়সে ২০২০ সালের এই দিনে মারা যান ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনার উত্থান মূলত ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল। এ ৭ বছর তিনি ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ইতালি ও নাপোলির মানুষও তাকে চিরকাল ভালোবেসেছে নিজের ঘরের ছেলের মতো। যে দলটিতে তিনি যোগ দেন ১৯৮৪ সালে।
নাপোলি ছিল ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। তিনি নাপোলিকে উজাড় করে দিয়েছেন, সেই সঙ্গে নাপোলিও তাকে চিরদিন মনে রাখার জন্য তার গায়ে জড়ানো ১০ নাম্বার জার্সি কাউকে কখনো দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা স্টেডিয়াম’।
ফুটবলের ঈশ্বর, উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারানোর দুই বছর কেটে গেল। লম্বা সময় ধরে অসুস্থতায় ভোগা ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর নিজ বাসায় মারা যান।
এ ম্যারাডোনার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনাকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি গোল করেন তার একটি হাত দিয়ে গোল করে ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’ খ্যাতি পান এ বিশ্বকাপজয়ী। অন্য গোলটাও ছিল দেখার মতো। মাঝ মাঠ থেকে একাই টেনে নিয়ে গোল করেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত ম্যারাডোনা।
৮ বছর বয়সে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে যোগ দেন। বয়স যখন ১২ স্থানীয়দের কাছে বেশ নাম ডাক পেয়ে যান তিনি। ১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পান। দেশের জার্সিতে চারটি বিশ্বকাপ আসরে অংশ নেন।
বোকা জুনিয়র্স, বার্সালোনা, সেভিয়া ও নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির হয়ে স্মরণীয় মৌসুম উপহার দেন এ আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার। নাপোলির হয়ে দুবার সিরি ‘আ’ ও উয়েফা জেতান।
Development by: webnewsdesign.com