দাফনের ১০ দিন পর হবিগঞ্জের স্কুলছাত্রী জেরিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন!

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ৭:১৩ অপরাহ্ণ

দাফনের ১০ দিন পর হবিগঞ্জের স্কুলছাত্রী জেরিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন!
apps

আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মাদিনাতুল কুবরা জেরিনের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। দাফনের ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার উপস্থিতিতে সদর মডেল থানা পুলিশ লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসাপাতলের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

 

 

 

এ তথ্য নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, জেরিনের মৃত্যুর পর প্রথমে সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে মনে করে তার লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তের বেরিয়ে আসে ভিন্ন কাহিনী।

সড়ক দুর্ঘটনা নয় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ফেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। তাই আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ তোলা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী জেরিন সদর উপজেলার ধল গ্রামের আব্দুল হাই মিয়ার কন্যা।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, জাকির গ্র্যাজুয়েশন সমাপ্ত করে বেকার অবস্থায় ছিলেন। একতরফা প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় জেরিনকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তিনি।

 

 

 

শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল ৮টায় নূর আলমের অটোরিক্সার উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। আগে থেকেই গাড়িতে ছিলেন হৃদয়। পথিমধ্যে অটোরিক্সায় তুলে নেয়া হয় জাকিরকে। সিএনজি অটোরিক্সাটি জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছিল না। এ সময় নামার চেষ্টা করলে জেরিনের সাথে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় অপহরণকারীদের। এক পর্যায়ে সে অটোরিক্সা থেকে লাফ দিলে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১৯ জানুয়ারী) সকালে মারা যায় মেয়েটি।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার হলে অটোরিক্সা চালকের শাস্তি দাবিতে আন্দোলনে নামে এলাকাবাসী ও জেরিনের সহপাঠারীর। ওইদিন রাতেই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) জাকিরকে গ্রেফতার করলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

Development by: webnewsdesign.com