দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় পর শুক্রবার মুক্তি পেল চিত্রনায়িকা অধরা খান অভিনীত সিনেমা ‘সুলতানপুর’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির। এ সিনেমায় অধরা খান অভিনয় করেছেন সামিয়া চরিত্রে। সিনেমা ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়সাল আহমেদ
এই সত্যি কথাটা বারবার বলতে হয় যে আমি দর্শকের কাছ থেকে সব সময়ই প্রত্যাশারও বেশি সাড়া পেয়ে থাকি। সুলতানপুর সিনেমাতে আমি সামিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার ধারণা ছিলো যে সিনেমাটি দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখবেন। কিন্তু এতটা আগ্রহ নিয়ে দেখবেন এটা ভাবিনি। সত্যি বলতে কী সিনেমার গল্পর কারণেই দর্শক সিনেমাটি দেখছেন। সিনেমাটি মুক্তির দিন থেকে আজ পর্যন্ত যারাই সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কারণ আপনাদের জন্যই আমরা কষ্ট করি। অনেকেই নানান মাধ্যমে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করছেন। তাদের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি এরই মধ্যে দুবার হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করেছি।
দর্শক সারিতে বসে পুরো ছবি দেখার অনুভূতি কেমন?
এ অনুভূতি আসলেই অন্যরকম। সবার মাঝে বসে আমি আমার অভিনয় দেখছি- এক একজন এক এক কথা বলছেন। আমাদের এই ছবিটার এন্ড ক্লাইম্যাক্স অনেক বেশি টুইস্টে ভরা। একজন দর্শক কিংবা শিল্পী হিসেবে বললেও ছবির সবচেয়ে বড় চমক রয়েছে ক্লাইম্যাক্সে। আর এটা সাধারণ দর্শকেরও ভালো লেগেছে। দর্শকের পাশে বসে যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমি মুগ্ধ।
একটি ভালো কাজ সব সময়ই সবাইকে অনুপ্রেরণা দেয়। আপনি কী মনে করেন?
এটা তো চিরন্তন সত্য। আপনি একটি কাজ করলে সেটা সবারই ভালো লাগবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু যখন দেখবেন কাজটি ৮০ ভাগ মানুষের ভালো লেগেছে তখনই আপনি আরেকটি ভালো কাজের অনুপ্রেরণা পাবেন। আমিও আগামীতে আরও ভালো ভালো গল্পের সিনেমাতে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ ছবিটির পরিচালক সৈকত নাসির স্যারসহ সুলতানপুরের পুরো টিমকে।
ছবিটির নাম পরিবর্তন হয়েছে?
ছবিটা যখন সেন্সরে গিয়েছিল, তখন নাম পাল্টাতে হয়। গল্পের সঙ্গে মিল রেখে ‘বর্ডার’ নামটা রাখতে চেয়েছিলাম আমরা সবাই। দর্শক কিন্তু তিন বছর ধরে জানে আমরা ‘বর্ডার’ নামের একটি ছবি করছি। অথচ এখন তাদেরকে ‘সুলতানপুর’-এ আসতে বলছি! এতে আমার একটা কথাই মনে হয়েছে দেশে বাস্তবসম্মত সিনেমা নির্মাণ করা কঠিন। সেন্সর বোর্ডের নানান বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যেটা সৃষ্টিশীল কাজের বড় অন্তরায়।
সবাই ঝুঁকছে ওটিটিতে, আপনি?
আমার অভিষেক বড়পর্দা দিয়ে হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড়পর্দাতেই আছি। তবে ওটিটিতে কাজের ইচ্ছে আছে। সে ক্ষেত্রে আমার চাওয়া হলো, সেখানে অভিষেক যেন ভালো কিছু দিয়ে হয়। এখন দেশের বাইরে সবাই ওটিটিতে কাজ করছেন। সুতরাং এটাকে সিনেমার বাইরে ভাবা যাবে না। মূল বিষয় হলো গল্প, নির্মাতা কিংবা প্ল্যাটফর্ম। তাই সেই সঠিক প্ল্যাটফর্মের জন্য অপেক্ষা করছি।
সিনেমা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
কোভিডের পর আমাদের সিনেমার উত্তরণ হচ্ছে। এই উত্তরণকে স্বাগত জানাই। ট্রেন্ডে শামিল হয়ে আমরাও চেষ্টা করি ভালো কাজ করার। আর সিনেমার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়। তাই সিনেমা নিয়ে আপাতত এটাই ভাবনা যে, নিজেকে আরও তৈরি করতে হবে।
অন্য কাজের কী অবস্থা?
সম্প্রতি শেষ করেছি ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিন দুয়ার’ ছবির কাজ। শিগগির এর ডাবিংয়ে অংশ নেব। এ ছাড়া অপূর্ব রানার পরিচালনায় কাজ করছি ‘দ্য রাইট’-এ। ছবিটির ৭০ ভাগ শুটিং সম্পন্ন। বাকিটা কোরবানির ঈদের পর ধারণ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com