অবশেষে তিনদিন পর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফ-এর ধাওয়ায় নীলকমল নদে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর উদ্ধার হওয়া মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের কর্মকর্তাদের আলোচনা শেষে সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ৯৩৮এর ৮ পিলারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ওই পিলারের নিকট ভারতীয় সেউটি-২ গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায়ের বাড়ির আঙিনায় ওই মৃত শিশু পারভিন ও তার সহোদর সাকেবুল হাসানের মরদেহ তার বাবা রহিচ উদ্দিন এর নিকট হস্তান্তর করে।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল সুমন রেজা, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক, নেওয়াশী ইউপি সদস্য মেছের আলী, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার ফরিদ উদ্দিন। সেই সাথে ভারতের পক্ষে ছিলেন স্থানীয় সরকারের ১২টি অঞ্চল প্রধান বিষ্ণু কুমার সরকারসহ ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভারত থেকে শিশু পারভীন খাতুন (৮) ও সাকেবুল হাসান (৪) দুই সহোদর তাদের বাবা মায়ের সাথে কোরবানি ঈদ পালন করার জন্য গোপনে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া খায়। ওই দিন মধ্যরাতে আন্তর্জাতিক ৯৪৩ নং মেইন পিলারের নিকট দিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে অতি গোপনে তারা আসছিল। পরে একসময় তারা মা বাবাসহ কাঁটাতার কেটে নীল কমল নদের তীরে আসলে বিএসএফ ধাওয়া করে।
কিন্তু তারা কেউই সাঁতার না জানার কারণে রাতের অন্ধকারে নদী দিয়ে আসতে হাত থেকে ফসকে গিয়ে দুই শিশু নিখোঁজ হয়। এরপর তাদের লাশ নদীতে পরদিন ভেসে উঠলে বিএসএফ ও বিজিবির নজরে এসে পতাকা বৈঠকে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানা পুলিশ ও বিএসএফ তাদের লাশ নিয়ে যায়। এরপর ওই লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশকে দিলে তারা থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দুই শিশু পারভিন ও সাকেবুলের মরদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
Development by: webnewsdesign.com