সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাদাঘাট বাজার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫০ লাখ টাকায় একবছরে জন্য (১৪২৯ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত) বাদাঘাট বাজারের ইজারা ভাগিয়ে নেন কুনাটছড়া গ্রামের মোঃ গোলাপ মিয়ার ছেলে বিশিষ্ট বালু-পাথর ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ওরুপে খোকন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থাপনাধীন উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারসমূহ ১৪২৯ বাংলা সন মেয়াদে একবছরের জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারী দরপত্র আহ্বান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোঃ রায়হান কবির। ১ম পর্যায় সিডিউল বিক্রির শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং, ২৩ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১ টায় দরপত্র দাখিল ও দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে দরপত্র বাক্স খোলার তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে উল্লেখ করেন। আজ (২৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার) দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে রক্ষিত বিভিন্ন হাটের দরপত্র বাক্স খোলা হয়। এতে উপজেলার অন্যান্য হাটবাজার সহ উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট বাদাঘাট ( বাজার) হাটের জন্য ৪ টি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে বাদাঘাট হাটে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা দর দেয়ায় মিজানুর রহমান ওরুপে খোকনকে বাদাঘাট হাট ইজারা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। দ্বিতীয় দরদাতা আজিজুর রহমান দিয়েছিলেন ৪৭ লাখ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তৃতীয় দরদাতা তোতা মিয়া দিয়েছেন ৪৬ লাখ টাকা এবং চতুর্থ দরদাতা জাহাঙ্গীর আলম দেন ৩৮ লাখ টাকা। এই হাটটির সরকারি কাঙ্খিত মূল্য ধরা হয় ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫২ টাকা। গত ১৪২৮ বাংলা সনে এই হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। এবার গত বছরের ছেয়ে সরকার ৩৮ লাখ টাকা বেশ রাজস্ব প্রাপ্ত হয়।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বাদাঘাট বাজারের ইজারা প্রাপ্ত হন মিজানুর রহমান (খোকন)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিলাম মূল্যের সাথে ২৫% ভ্যাটসহ আয়কর নির্ধারিত জমা দেয়ার পর তাকে তহশীলদার বাজারের টোল আদায়ে দখলস্বত্ব বুঝিয়ে দেবেন ইজারাদারকে।
Development by: webnewsdesign.com