সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় উচ্চাদালত ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংসের স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র নদীর তীর কেটে ও তীর সংলগ্ন জমিতে ৮০ থেকে ১০০ ফুট গর্তকরে শতাধিক পাথর কোয়ারি করে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের পর নদীর পাড়ে স্তুপ রাখা ৪০ হাজার ঘনফুট বালি ও ৫৫ হাজার ঘনফুট পাথর টাস্কফোর্সের অভিযানে
জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামে মাধ্যমে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছে প্রশাসন।
আজ (১লা মে শনিবার) দুপুর থেকে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযানে যাদুকাটা নদীতে ঘাগটিয়া পাক্কা রাস্তার মাথা ও সরকারি পুকুর পাড় এলাকায় ৪০ হাজার ঘনফুট বালি ও ৫৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে সন্ধ্যা ৬ উন্মুক্ত নিলাম ডাকার মাধ্যদিয়ে শেষ হয়।
পরে উন্মুক্ত নিলামে ডাকে স্থানীয়১৫/২০ জন ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ঘাগটিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী ডালিম হোসেন সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ৫৫ হাজার ঘনফুট পাথর ৭৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৭শ ৫০ টাকায় নিলামে ক্রয় করে । এবং পৈলনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন ৪০ হাজার ঘনফুট বালু ১০ লক্ষ ১২ হাজার টাকায় নিলাম পায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানাযায়, একটি প্রভাবশালী বালু-পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্র প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৪/৫ মাস যাবৎ ঘাগটিয়া এলাকায় বড়টেক, শিয়ালের টেক ও জালর টেক ও পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় যাদুকাটা নদীর তীর কেটে ও তীর সংলগ্ন জমিতে কোয়ারীকরে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে আসছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে গতকাল ১ লা মে শনিবার ওইসব বালু-পাথর জব্দ করে। পরে জব্দকৃত বালু-পাথর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে।
টাস্কফোর্সের এ অভিযানে এসময় আরও ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের পরিদর্শক মাঈদুল ইসলাম, তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার, লাউড়েরগড় বিওপি’র হাবিলদার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ এ প্রতিবেদককে জানান, জাদুকাটা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তোলন করা বালি-পাথর আজ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে জব্দ করে, উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে জব্দকৃত বালু-পাথর প্রায় ৮৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: এর আগেও গত (২৪ মার্চ বুধবার) যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকার শিয়ালর টেক ও জালর টেক নামক স্থানে সকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে যাদুকাটা নদীর তীর কেটে ও কোয়ারীকরে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর এবং ৪০ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করার পর উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বালি ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রশাসন।
Development by: webnewsdesign.com