চট্টগ্রামে তথ্য গোপন করে বিয়ে করায় প্রতারণার মামলায় শামীমা আকতার মুক্তা নামের এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন জানান চকবাজার থানার এসআই রাজীব পাল।
কারাগারে যাওয়া শামীমা আকতার মুক্তা (৩২) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ পূর্ব বারখাইন এলাকার হাসান আলী মুন্সী বাড়ীর মোঃ সোলায়মান প্রকাশ লেদু মিয়ার মেয়ে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নগরের দামপাড়া এলাকা থেকে শামীমা আক্তার মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে হাজির করে চকবাজার থানা পুলিশ। এ সময় মুক্তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত নাকচ করে দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নেতা আকিবুল ইসলাম আকিবকে বিয়ে করেন শামীমা আক্তার মুক্তা। বিয়ের সময় কাবিননামায় নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে পরিচয় দেন মুক্তা। অথচ তার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আকিবুল হাসান আকিব বলেন, শামীমা আক্তার মুক্তার সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় এবং পরে বন্ধুত্ব হয়। তখন তিনি অবিবাহিত বলে জানান এবং আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে একদিন তিনি আমাকে কৌশলে তার চকবাজারস্থ বাসায় নিয়ে যান।
সেখানে ৪-৫ জন লোকের উপস্থিতিতে বিয়ে এবং ১০ লাখ টাকা কাবিন দিতে বাধ্য করেন। বিয়ের পর আমি জানতে পারি তার স্বামী, সন্তান রয়েছে। বিষয়টি আমি জানতে চাইলে তখন তিনি আমাকে তালাক দিয়ে কাবিনের বকেয়া টাকা দিতে বলেন। অন্যথায় নারী নির্যাতন মামলা দেবেন বলে আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন।
আকিব বলেন, শামীমা আক্তার মুক্তা এর আগে আইয়ুব নামের এক ব্যবসায়ীকেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। আইয়ুবের কাছ থেকে নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে তালাক নেয় এবং কাবিনের টাকা আদায় করেন। মুক্তা প্রতারণার এসব ফাঁদ পাতেন তার প্রথম স্বামী লোকমান হোসেন শাহীনকে নিয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন প্রতারণার মামলাও রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি রহুল আমীন বলেন, প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় শামীমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com