অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিমউদ্দিন

ডায়াবেটিসকে জয় করুন

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ

ডায়াবেটিসকে জয় করুন
apps

ডায়াবেটিস কেয়ারে প্রবেশাধিকার-এখন নয় তো কখন! এ স্লোগান নিয়ে আগামীকাল পালিত হবে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিসের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ইনসুলিনের আবিষ্কারক স্যার ফ্রেডরিক বেন্টিং-এর জন্মদিবসকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও জীবনধারা কেমন হবে তা জানাতে লিখেছেন বারডেম হাসপাতালের মেডিসিন ও ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিমউদ্দিন

ডায়াবেটিস হরমোনজনিত রোগ। এতে রক্তের সুগার বাড়ে। সুগারের (কার্বোহাইড্রেট) সঙ্গে আমিষ (প্রোটিন), চর্বি (ফ্যাট), পানি, খনিজদ্রব্য সব কিছুরই বিপাকীয় বিড়ম্বনা ঘটে। শরীরের এমন কোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নেই যেটার কার্যকারিতা ডায়াবেটিসের কারণে নষ্ট হয় না।

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা

স্বাভাবিক: নাস্তার আগে ৬ মিমোল/লি (১১০ মি গ্রা)

খাওয়ার পর ৭.৮ মিমোল/লি (১৪০ মি গ্রা)

ডায়াবেটিস হলে : নাস্তার আগে ৭ মিমোল/লি ও

(১২৬ মিগ্রা) বেশি হলে

খাওয়ার পর ১১.১ মিমোল/লি ও

(২০০ মিগ্রা) বেশি

প্রিডায়াবেটিস : নাস্তার আগে ৬.১-৬.৯ মিমোল/লি

খাওয়ার পরে ৭.৯-১১.০ মিমোল/লি।

প্রিডায়াবেটিসদের পরবর্তিতে ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা কমপক্ষে তিনগুণ বেশি। প্রিডায়াবেটিকরা নিয়মকানুন মানলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। না মানলে ডায়াবেটিকদের মতো জটিলতা যেমন- হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন এটাক, গ্যাংগ্রিন (রক্তনালির অসুখ) হওয়ার আশংকা একই রকম।

ডায়াবেটিস কেন হয়

অনেকদিন থেকেই ধারণা ছিল প্রধানত তিনটি কারণ। যেমন- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, বিটা কোষের ব্যর্থতা, ইনসুলিন স্বল্পতার জন্য রক্তে গ্লুকোজ বাড়ে। জানা-অজানা বহুবিধ কারণে এগুলো হয়।

২০০৮ থেকে বিধ্বংসী আট বিপর্যয়কে বলা হচ্ছে ডায়াবেটিসের কারণ।

মাংস গ্রহণ → লিভারে ইনসুলিন কার্যকারিতা হারায় (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স),

→ বিটা সেল ইনসুলিন দিতে পারে না (ইনসুলিন স্বল্পতা) → ইনসুলিন স্বল্পতা ফ্যাট ভাঙে (লাইপলাইসিস) যেটা ইনসুলিন কার্যকারিতা (রেজিস্ট্যান্স) কমায়

→ প্যানিক্রয়াসের আলফা সেল গ্লুকাগন বেশি নি:সরণ করে যেটা সুগার বাড়ায় → খাদ্যনালির ইনক্রেটিন কমে → কিডনি বেশি গ্লুকোজ ধরে এবং রক্তে ফিরিয়ে দেয় ফলে গ্লুকোজ বাড়ে → ব্রেইন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়।

এই আটটি কারণের সঙ্গে চার হরমোন মিলে বিটা সেলের কাজ কমায় ভিটামিন ডি স্বল্পতা, টেস্টস্টেরন হরমোন, RAAS এবং কেটিকলামিন বিশেষ করে ডোপামিন।

সুগারাধিক্যের সঙ্গে অনেকের ফেরিটিন বেশি থাকে।

বংশে ডায়াবেটিস থাকলেই কী এ রোগ হয় : টাইপ-২ ডায়াবেটিসে বংশের প্রভাব থাকে। বংশে থাকলে অবধারিতভাবে হবে তা নয়। বাস্তবে দেখা যায় বাবা বা মার ছিল অথবা দু’জনার ছিল, এদের ছেলেমেয়েদের তিনজনের একজনের হয়েছে আর দু’জনের হয়নি।

মিষ্টি বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় : হয় না। ডায়াবেটিস মাল্টিফ্যাক্টরিয়াল ব্যাপার; বংশের প্রভাব আছে তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয় পরিবেশ পরিস্থিতির প্রভাব। বসে থাকা কাজ, ওজনাধিক্য অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সবই রক্তে গ্লুকোজাধিক্য ঘটায়।

ডায়াবেটিসের প্রকার

টাইপ-১ ডায়াবেটিস কম বয়সে (চল্লিশের আগে) হয়, ইনসুলিন কম থাকার কারণে হয় বলে এদের ইনসুলিন ছাড়া চলে না;

টাইপ-২ ডায়াবেটিস বেশি বয়সে হয়; ইনসুলিন শরীরে থাকলেও কাজ করে না ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে।

প্রেগনেন্সিতে হলে সেটা প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিস-এদের সবার চিকিৎসার নিয়মকানুন স্বতন্ত্র।

অন্য কোনো জানা কারণে হয়ে থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে শুধু ডায়াবেটিস নয় কারণের চিকিৎসাও লাগে। এখন পর্যন্ত যেগুলো বলা হলো সেটা সনাতনী টাইপ। চিকিৎসা করতে গিয়ে কালের পরিক্রমায় আরও অনেক ধরনের আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।

টাইপ-৩ কম বয়সে হলেও ইনসুলিন লাগে না MODY (maturity onset diabetes of young); এদের সংখ্যা ৫%; বংশ পরম্পরায় হয়।

টাইপ-৪ শুরুতে ট্যাবলেটে কাজ করলেও শিগ্গির ইনসুলিন দরকার পড়ে। টাইপ-১ এর মতো ইনসুলিন ছাড়া কাজ হয় না। LADA (latent

autoimmune diabetes of adult); এদের সংখ্যা কম নয়।

যেভাবে চিকিৎসা করা হয়

এক. জীবনব্যবস্থার পরিবর্তন ও মেটফরমিন। দুই. জীবনব্যবস্থার পরিবর্তন, মেটফরমিন ও অন্যান্য ওষুধ।

সুগার বেশি ধরা পড়লেই চিকিৎসা দিতে হবে।

এক. জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনতে হবে; ওজন স্বাভাবিক করতে হবে। সবারই উচ্চতা অনুসারে একটা স্বাভাবিক ওজন থাকে সেটা অর্জন করতে হবে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। কোনো খাবার নিষেধ নয় সুগার আর গ্লুকোজ ছাড়া। খাওয়া যাবে তবে হিসাব করে পরিমাণ ঠিক রেখে। আসল কথা হলো সুগার কন্ট্রোল থাকলে সবকিছুই জায়েজ। প্রতিদিন একটা মিষ্টি ফল, এক কাপ দুধ, কুসুমসহ একটা ডিম খেতে হবে; সারা দিনে কিছু টক ফল খাওয়া ভালো অভ্যাস। ব্যায়াম অত্যাবশ্যক; জোরে হাঁটা সবচেয়ে ভালো। ডায়াবেটিস হয়েছে হাঁটবেন না তা হয় না। প্রতিদিনই হাঁটতে পারলে ভালো। যত হাঁটা তত ভালো। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটলে চলবে। এমন হাঁটতে হবে যেন গা ঘামে/হার্ট রেট বাড়ে; ক্ষুধা বা পিপাসা লেগে যায়। তিন মাইল বা চার কিলোমিটার পার করতে হবে ৪৫ মিনিটে। প্রতিদিন হলে ভালো; কমপক্ষে ৫ দিন-কমপক্ষে ১৫০ ঘণ্টা। পরপর ২ দিন বাদ দেওয়া যাবে না। যে কোনো ব্যায়ামই উপযোগী; টার্গেট হবে দিনে ৩০০ ক্যালরি খরচ। ব্যায়াম ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়, গ্লুকোজ ব্যবহার বাড়ায় আর তাতে রক্তে গ্লুকোজ কমে। প্রতিদিন যা খাচ্ছেন আর যা করছেন সেটার মধ্যেই সচেতন হোন। নিজের জন্য উপযোগী জীবনব্যবস্থা আর অভীষ্ট ক্যালরি ক্ষয় করাই লক্ষ্য। জীবনব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মেটফরমিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে; এমন নয় যে আগে হাঁটাহাঁটি করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে দেখি তারপর ওষুধ শুরু করা যাবে। রক্ত পরীক্ষা এ১সি বেশি থাকলে, মেটফরমিনে কাজ না হলে কম্বিনেশন (যৌগ) ব্যবহার করতে হবে; মেটফরমিনের সঙ্গে ইনসুলিন বা জিএল-পি ওয়ানও ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে। ইমার্জেন্সি থাকলে বা গ্লুকোজাধিক্যের উপসর্গ থাকলে প্রথম থেকেই ইনসুলিন শুরু করতে হবে। রক্তে মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজ মানেই পয়জন। গ্লুকোজ যত বেশি, যত দিন বেশি তত বেশি ক্ষতি(গ্লুকটক্সিসিটি)। দেখি দেখছি করে দেরি করলে ক্ষতি হবে।

চিকিৎসার লক্ষ্যমাত্রা

নাস্তার আগে ৬ (১১০ মিগ্রা), নাস্তার দু’ঘণ্টা পর ৮ (১৪৪ মিগ্রা), যে কোনো সময় (random) ৭ মিমোল/লি(১২৬ মিগ্রা)। পয়ষোট্টি ঊর্ধ্ব রোগী, দু-একবার অতিরিক্ত মাত্রায় (severe) হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে এ মাত্রার শিথিলতা থাকতে পারে।

কন্ট্রোল না রাখলে কী হবে

বিশ্বে শতকরা ১০ জনের একজন লোকের ডায়াবেটিস আছে, প্রিডায়াবেটিস ধরলে এ সংখ্যা অনেক। নির্মূল করা যাবে না তাই কন্ট্রোল রাখাই লক্ষ্য; নিয়ন্ত্রণে রাখলে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন এটাক, গ্যাংগ্রিন, কিডনি অকেজো বা চোখ অকেজো হয়ে যাবে। গ্লুকোজ কন্ট্রোলের সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ, কলস্টোরেলাধিক্য কমাতে হবে, ধূমপান পরিহার করতে হবে। রক্তচাপ ১৩০/৮০-তে রাখতে হবে। চল্লিশোর্ধ্ব সব ডায়াবেটিস রোগীরই স্টাটিন (কলস্টেরলের ওষুধ) খেতে হবে।

হাপোগ্লাইসেমিয়া (হাইপো)

স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে সেটা হাইপোগ্লাইসেমিয়া। ডায়াবেটিস রোগী যদি ওষুধ নেয় তবেই হাইপো হয়, নচেৎ নয়। তিনটা লেভেল। লেভেল-১ রক্তে গ্লুকোজ ৩.৯ মিমোল বা ৭০ মি. গ্রাম। লেভেল-২ ৫৪-৭০ মি.গ্রাম (৩-৩.৯ মিমোল) রোগী উপসর্গ হলে বুঝতে পারলে এবং, অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চিকিৎসা করতে পারলে সেটা মৃদু হাইপোগ্লাইসেমিয়া। যখন রোগী অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চিকিৎসা করতে পারবে না সেটা মারাত্মক হাইপোগ্লাইসেমিয়া।

হাইপোর উপসর্গ : খুব ক্ষুধা লাগবে যেন দুনিয়া খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করবে, গা কাঁপবে, গা ঘামবে, চোখ ঝাপসা হয়ে আসবে, মৃত্যু আসন্ন মনে হবে। মিষ্টি কিছু খেতে হবে। ডাক্তার বা আত্মীয়স্বজন খুঁজতে গেলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আশংকা বেশি; তাই কাজ একটাই মিষ্টি খেতে হবে।

হাইপোর চিকিৎসা: খেতে পারলে মুখে মিষ্টি দিতে হবে; ফাইন সুগার চিনি /গ্লুকোজ বা চিনি জাতীয় খাবার দিতে হবে। খেতে না পারলে শিরায় গ্লুকোজ ইনজেকশন দিতে হবে। ১৫ মিনিট পর পর পরীক্ষা করতে হবে; স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গ্লুকোজ দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। স্বাভাবিক হয়ে যাওযার পর ভাত রুটিজাতীয় জটিল শর্করা দিতে হবে। সালফোনিলুরিয়া ও লং এক্টিং ইনসুলিনের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা তদারকিতে রাখতে হবে। পুনর্বার হওয়ার আশংকা থাকলে গ্লুকোজ স্যালাইন ইনফুশন দিয়ে রাখতে হবে। সতর্কতা হিসাবে ওষুধ পরিবর্তন করতে হবে, ডোজ কমাতে হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া করে না এমন ট্যাবলেট, লং এক্টিং-এর জায়গায় শর্ট এক্টিং ইনসুলিন ও ২০ শতাংশ কম ইনসুলিন দিতে হবে। ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। দুধ বা এ জাতীয় খাবার দেওয়া যাবে না কারণ এগুলোতে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে বিধায় ইনসুলিন বাড়ে/গ্লুকোজ ব্যবহার কমে, ফলে হিতে বিপরীত হবে।

ডায়াবেটিস থেকে হার্ট ও রক্তনালিতে সমস্যা : ডায়াবেটিক রোগীদের লুক্কায়িত (সাবক্লিনিক্যাল) হার্ট ও রক্তনালির অসুখ থাকে বিধায় ক্লিনিক্যাল হার্ট অ্যাটাকের আশংকা প্রায় চারগুণ। ফিমেল হরমোন ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্ট্রেন থাকায় মহিলারা হার্ট ডিজিজ থেকে প্রটেকশন পায় কিন্তু ডায়াবেটিস হলে এ নিরাপত্তা থাকে না উল্টো হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ, কোলস্টেরল : চিকিৎসা অন্য রোগীর মতোই; কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে এআরবি বা এসিইইনহিবিটর যোগ করতে হবে। প্রোটিনুরিয়া থাকলে এগুলো হবে অত্যাবশ্যকীয় সংযোজন। চল্লিশোর্ধ্ব হলে সব ডায়াবেটিক রোগীরই স্টাটিন খাওয়া উচিত।

রক্ত পরীক্ষার নিয়ম

যারা ট্যাবলেটে আছেন তাদের জন্য ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সুযোগ সুবিধা অনুসারে পরীক্ষা করতে হবে। হাইপগ্লাইসেমিয়ার উপসর্গ হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করতে হবে ও ব্যবস্থা নিতে হবে। সালফোনিলুরিয়া হাইপোগ্লাইসেমিয়া করে, অন্য ট্যাবলেটগুলো করে না। তবে কম্বিনেশনে খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার আশঙ্কা বেশি। ইনসুলিন হাইপোগ্লাইসেমিয়া করে তাই বারবার পরীক্ষা করতে হয়। কন্ট্রোল হয়ে গেলে ৪ দিন পর পর করলে হয়; ডোজ ও তখন নির্ধারণ করা যায়। তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার উপসর্গ হলে তৎক্ষণাৎ করতে হবে। ইনসুলিনে রোগী দিনে তিনবার-নাস্তার আগে, শোবার আগে ও দিনে অন্য যে কোনো সময় একবার রক্ত পরীক্ষা করার নিয়ম। বাস্তবতা হলো রোগীর নিজের হিসাবই বড় হিসাব। রোগী যেভাবে সুবিধা করতে পারবে। গ্লুকোমিটার দিয়ে আঙুলের মাথা থেকে নিয়ে যতবার সম্ভব পরীক্ষা করে দেখলে চলবে। মাসে একবার ডায়াবেটিস সেন্টারে যেতে পারলে ভালো। সেন্টারে গিয়ে শিরা থেকে রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।

ডায়াবেটিসের ওষুধ

ট্যাবলেট ও ইনজেকশন। ট্যাবলেট দুই ধরনের। সিক্রেটগগ-কোষ যেমন-সালফনিলুরিয়া, প্যানিক্রয়াসের বিটা সেল থেকে ইনসুলিন নি:সরন বাড়ায়। গ্লাইবেনক্লামাইড, গ্লিক্লাজাইড, গ্লিমিপ্রাইড এ জাতীয় ওষুধ। খাবার শরীরে থাকুক আর না থাকুক এরা রক্তে গ্লুুকোজ কমায়; তাই হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশংকা বেশি।

সেনসিটাইজার-ইনসুলিন নি:সরন বাড়ায় না কিন্তু ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খাবার খেলেই শুধু কাজ করে; খাওয়ার সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজ বাড়লেই (ফুড রিলেটেড) কাজ করে সুগার কমায়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া করে না। ইনজেকশন দুই ধরনের-ইনসুলিন এবং জিএলপি-১এগনিস্ট। সবচেয়ে পাওয়ার ফুল ওষুধ হোল ইনসুলিন। জিএলপি-১ এগনিস্ট-গ্লুকোজ কমানো ছাড়াও ওজন ও প্রেশার কমায়। সুদূরপ্রসারী ব্যবহারে জি-এলপি ওয়ান এগনিস্ট হার্ট ও কিডনির জন্য উপকারী যেটা সুগার কমানোর ওপর নির্ভরশীল নয়।

Development by: webnewsdesign.com