সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ডান্সক্লাবের আড়ালে অবৈধ দেহ ব্যবসা করা বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি। সম্প্রতি নারী পাচারের অভিযোগে ঢাকা থেকে নৃত্যশিল্পী ইভান সোহাগ গ্রেফতার হওয়ায়, দুবাইয়ের অনেক ব্যবসায়ীই গা ঢাকা দিয়েছেন। আরেক মূল হোতা আজম খানের ভাই নাজিম উদ্দিন সিআইডির মামলার আসামি হলেও, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ডান্স ক্লাবগুলোতে এখন বাঙালি উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ গ্রেফতারের পর ক্লাবগুলোর বেশ কয়েকজন মালিকও গা ঢাকা দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইভানের পাশাপাশি নারী পাচারের অন্যতম হোতা বাঙালি ব্যবসায়ী আজম খান গ্রেফতার হলেও দুবাইতে তার চেয়েও বড় কয়েক রাঘব বোয়াল এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের বারগুলোতেও অবৈধ দেহ ব্যবসা চলে।
আজম খানের ভাই নাজিমকেও খুঁজছে বাংলাদেশের পুলিশ। এ-জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতাও নেয়া হচ্ছে। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন নাজিম।
পাচার হয়ে আসা নারীদের জোর করে অনৈতিক ব্যবসায় নিয়ে এসেছে একটি চক্র। প্রবাসে বাধ্য হয়েই পেটের দায়ে এই পরিণতি মেনে নিতে হয়েছে অসংখ্য নারীকে।
১৯৯৫ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশিদের ইউএই ট্যুরিজম বিভাগ থেকে ডান্স বার খোলার অনুমতি দেয়া হয়। আরব আমিরাতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ৭০টির বেশি ডান্স ক্লাব ও দেড় হাজারের ওপর নৃত্যশিল্পী কর্মরত।
গেলো ১০ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশানের নিকেতনে নিজের ড্যান্সক্লাব ‘সোহাগ ড্যান্সট্রুপ থেকে দুবাইয়ে নারী পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। সিআইডি বলছে, দুবাইয়ের ফরচুন পার্ল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্সক্লাব, হোটেল রয়েল ফরচুন, হোটেল ফরচুন গ্র্যান্ড ও হোটেল সিটি টাওয়ারে নারী পাচার করতেন ইভান। উচ্চ বেতনে কাজের কথা বলে- দুবাই নিয়ে অল্প বয়সী মেয়েদের দেহব্যবসায় বাধ্য করা হতো। এর আগে ১২ জুলাই, এ চক্রের মূল হোতা ও এ চারটি হোটেলের অন্যতম মালিক আজম খানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর থেকেই রহস্যের জট খুলতে থাকে।
সূত্র- সময় টিভি
Development by: webnewsdesign.com