ইরানের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত বলে মনে করছেন তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে দুইজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। খবরটি দিয়েছে আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেখানে মোসাদের হাত থাকার বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের কথা আমেরিকা আগে থেকে কতটুকু জানতো তা পরিষ্কার নয়। তবে ইসরায়েল ও আমেরিকা নানা বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে থাকে।এছাড়া বিষয়টি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস যোগাযোগ করলেও কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ফখরিজাদেহকে হত্যায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইসরায়েলের লেখক ও সাংবাদিক ইয়োসি মেলম্যানের একটি টুইট রি-টুইট করেছেন ট্রাম্প। সেই টুইটে মেলম্যান লিখেছেন, তেহরানের পূর্ব দিকে মহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যা করা হয়েছে।
টুইট বার্তায় বলা হয়, তিনি ইরানের গোপন সামরিক কর্মসূচির প্রধান ছিলেন এবং বহু বছর ধরে মোসাদের টার্গেটে ছিলেন। তার মৃত্যু ইরানের জন্য একটি বড় মনস্তাত্ত্বিক এবং পেশাদার আঘাত। এছাড়াও ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় মহসেন ফখরিজাদেহকে তার ভাষায় ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির কারিগর বলেও দাবি করেছেন।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালের একটি অনুষ্ঠানে ইরানবিরোধী আলোচনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানী ফখরিজাদেহের নাম বার বার উল্লেখ করেছিলেন। সে সময় তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, স্মরণ রাখবেন নামটি হচ্ছে ফখরিজাদেহ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ টুইট বার্তায় বলেছেন, ইরানি পদার্থ বিজ্ঞানীর কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এই ঘটনায় বোঝা যায়, যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা নিজেদের অসহায়ত্বের কারণে একটা যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) তাদের নির্লজ্জ দ্বৈত নীতি পরিহার করে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।
Development by: webnewsdesign.com