ঢাকামুখী যানবাহনের চাপে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের ছুটি শেষে আজ মঙ্গলবার থেকে খুলেছে অফিস। এরই মধ্যে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে। গতকাল সোমবার সকালে জাজিরার প্রান্তের টোলপ্লাজা থেকে নাওডোবার জমাদ্দার মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এদিন রাতেও চাপ ছিল পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে।
এদিকে, যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা। ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। সোমবার সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। রাত যত বাড়ে যানজট তত দীর্ঘ হয়। রাতের সেই যানজট আজ মঙ্গলবার সকালেও কমেনি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী পার্থ সারথি বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সোমবার দিনভর পদ্মা সেতু দেখতে আসা মানুষ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে এসেছেন। সন্ধ্যার পর তারা মাওয়ামুখী হতে শুরু করেন। ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষেরও ঢাকায় ফেরা শুরু হয়। এ কারণে সন্ধ্যার পর টোলপ্লাজার সামনে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। তখন টোলপ্লাজার সামনে থেকে সংযোগ সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। সকালেও যানবাহনের চাপ আছে।
টোলপ্লাজার ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন বলেন, সোমবার দিনে কোনো যানজট ছিল না। সন্ধ্যার পর যানজট শুরু হয়। আমাদের ছয়টি বুথে টোল দিয়ে সেতুতে ওঠতে পারে যানবাহন।
একসঙ্গে সব মানুষ রাজধানীতে ফিরছেন, এ কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু সংশ্লিষ্টরা। যানজটের কারণে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
Development by: webnewsdesign.com