টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বরগুনায় আপাতত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন করে টিকার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার সিভিল সার্জন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে বরগুনা সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সিভিল সার্জন অফিসেও বরাদ্দকৃত টিকার মজুত শেষ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পাথরঘাটা ও আমতলীতে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। জেলার অন্য দুই উপজেলা বামনা ও বেতাগীতেও টিকা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বরগুনা জেনালের হাসপাতালে টিকা নিতে এসে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টিকা প্রত্যাশীরা। যারা এসেছিলেন তারা সবাই টিকা পাওয়ার মেসেজও পেয়েছিলেন। কিন্তু এসে অপেক্ষার পর টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে গেছেন।
টিকা নিতে আসা অনেকের অভিযোগ টিকা গ্রহণের মেসেজ পেয়ে এসেছিলেন তারা। কিন্তু টিকা নিতে এসে দেখেন টিকা নেই।
টিকা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা বলেন, টিকা নেই তাহলে আমাকে মেসেজ দিয়ে এনে ভোগান্তি করানোর মানে কী? আমাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক দূর থেকে সদরের বাইরে থেকে টিকা নেয়ার জন্য এসেছি৷ এসে দেখি টিকা শেষ। বরগুনার স্বাস্থ্য বিভাগের বিষয়টি সম্পর্কে আগেই ধারনা রাখার উচিত ছিল।
এবিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা: মারিয়া হাসান বলেন, টিকা মজুদ থাকতে থাকতেই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করেছি এবং তিনদিন আগেই বরগুনায় টিকা আসার কথা ছিল। টিকার বরাদ্দ চেয়ে নতুন করে আবেদন করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। টিকা আসার পর বরগুনায় আবার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
এপর্যন্ত বরগুনায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা করা হয়। এরমধ্যে ভারতের কোল্ডশিল্ডের ৪৭ হাজার ২৬০ ডোজ এবং চীনের সিনোফার্মের ৬৩ হাজার ৪৮০ ডোজ।
Development by: webnewsdesign.com