টানা ভারি বর্ষনে বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৯ হাজার চিংড়ি ঘের

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১ | ৩:০১ অপরাহ্ণ

টানা ভারি বর্ষনে বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৯ হাজার চিংড়ি ঘের
apps

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টলঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টিতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া পাশাপাশি ভেসে গেছে ৯ হাজার চিংড়ি ঘের। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। জেলার শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর, মোরেলগঞ্জের পানগুছি, মোংলার পশুর, বাগেরহাটের ভৈরব, দড়াটানাসহ সকল নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ দশমিক ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এমন অবস্থা অব্যহত থাকলে জেলার চিংড়ি ঘের ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম রাসেল বলেন, গত দু’দিনে জোয়ারের পানি ও ভারি বর্ষনের জেলার ৪৭টি ইউনিয়নের সাড়ে ৭ হাজার পুকুর, ৯ হাজার চিংড়ি ঘের ও ২৫০টি কাঁকড়ার ঘের ভেসে গেছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমান হচ্ছে, চিংড়ির সাড়ে ৫ কোটি টাকা, সাদা মাছ ২ কোটি টাকা, কাঁকড়া ১৫ লাখ টাকা ও ২৬ লাখ টাকার চিংড়ি রেনু ভেসে সব মিলিয়ে মোট সাড়ে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এখন পর্যন্ত। এমন অবস্থায় চলতে থকলে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাট রামপালের পেড়িখালী গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী জামাল শেখ বলেন, আমার ১০ বিঘার একটি ঘের ভেসে গেছে। তিন লাখ টাকার মাছ ছিলো, সব শেষ। আমি পথে বসে গেলাম ভাই।

মোংলার জয়মনি এলাকার ঘের ব্যবসায়ী আনোয়ার ব্যপারি বলেন, বাড়ী-ঘরে হাটু সমান পানি। তার উপর উপার্জনের একমত্র সম্বল ঘেরটি ডুবে গেছে। এখন আমি ছেলে-মেয়ে নিয়ে কই যাবো।

বাগেরহাট কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ দশমিক ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার মোংলা, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট সদর ও ফকিরহাট উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের প্রায় সব ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি অভ্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়বে।

Development by: webnewsdesign.com