টানা চার দিন পর হিলির একমাত্র ফিলিং স্টেশনে অকটেন মিললেও প্রায় দশ দিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পেট্রোল। সরবরাহ সংকটের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে দাবি ফিলিং স্টেশন কতৃপক্ষের। ইদুল ফিতরের পর থেকে এই ফিলিং স্টেশনে দেখা দিয়েছিল পেট্রোল ও অকটেনের সংকট। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যে।
মঙ্গলবার (১০ মে) গাড়িতে তেল নিতে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিং স্টেশনটিতে পেট্রোল এর মেশিন বন্ধ থাকলেও দেওয়া হচ্ছে শুধু অকটেন।
ফিলিং স্টেশনটির তথ্য অনুযায়ী, রোববার (৮ মে) রাতে সাড়ে ৪ হাজার লিটার অকটেন ডিপো থেকে আনা হয়েছে এখানে। তারপর থেকে বিক্রি শুরু করেছেন তারা। প্রতিদিন গড়ে এই স্টেশনে তেলের প্রয়োজন হয় ১০ হাজার লিটার তেলের। এর মধ্যে ডিজেল লাগে প্রতিদিন ৪ হাজার লিটার, অকটেন ৪০০ লিটার ও পেট্রোল ৬০০ লিটার। প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হয় ৮৯ টাকা ৯৫ টাকা পয়সা, পেট্রোল ৮৬ টাকা ৯৫ পয়সা এবং ডিজেল বিক্রি হয় ৮০ টাকা ৫৫ পয়সা দরে।
মোটরসাইকেলে তেল নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর থেকে কোথাও পেট্রোল কিংবা অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের চলাচল করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তবে আজ পাম্পে এসে অকটেন পেলাম। কিছুটা হলেও ভালো লাগছে। কারণ গত কয়েক দিন আগে খুচরা দোকানে পেট্রোল পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়েছে। প্রতি লিটার পেট্রোল ১১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়েছে।
মেসার্স হিলি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার গোলাম রব্বানী বলেন, ঈদের পর থেকে পেট্রোল ও অকটেন আমাদের পাম্পে ছিল না। গত ৮ মে (রোববার) রাতে ডিপো থেকে আমাদের সাড়ে ৪ হাজার লিটার অকটেন দেওয়া হয়েছে। আমরা আপাতত সেটি বিক্রি করছি। আমাদের এখানে নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করতেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ফিলিং স্টেশনে অকটেনের সঙ্গে এখন ডিজেলেরও সরবরাহ রয়েছে। তবে পাম্পে এখনো পেট্রোলের সরবরাহ নেই। ফলে পেট্রোল বিক্রি করতে পারছি না।
Development by: webnewsdesign.com