সিলেটে লকডাউনে টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর তালা খুলেছে শপিং মল-দোকানপাটের। রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে সীমিত আকারে ক্রেতাও আসতে থাকেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সমাগম বাড়তে থাকে।
তবে সরকার থেকে সময় বেধে দেয়ায় ভিড় সামাল দেয়া কিছুটা কঠিন হয়ে পড়বে দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলছেন প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সময় আরও বাড়াতে। এদিকে নগরের বড় শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি দেখা গিয়েছে।
সরেজমিনে কয়েকটি মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, টানা এগারো দিন পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কারণে সকাল থেকেই মালিক কর্মকর্তারা ছিলেন ব্যস্ত। দোকানের তালা আর শাটার খেলেন ঠিক দশটার দিকে। কয়েক দিনের বিরতি দোকানপাটে ময়লার পড়েছে। সেগুলোকে পরিষ্কার করে আর সাজ গোছ করে প্রস্তুতি নেন ক্রেতা টানতে।
দোকানীরা জানান, বৈশাখের বাজার হারিয়েছেন। রোজাও চলে গেছে ১১টা। তবুও তারা আশায় মৌসুমটা হারাবেন না।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকেন ক্রেতা। শিশুদেরও সাথে এনেছেন অনেকে। কিছু মানুষ সচেতন থাকলেও উদাসীনতা অনেকেরই। তবে বড় শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্য সতর্কতায় বেশি কড়াকড়ি। জীবননাশক টানেল দিয়ে প্রবেশ ও দোকানে দোকানে স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের হাতে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হলে অফিস-আদালত, গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও শপিংমল মল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন নির্দেশনা দিয়ে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ তা কার্যকর করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com