টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন মাজেদুর রহমান (২৫) নামের এক পাষন্ড। আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে গত বুধবার বিকেলবেলায় ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে রাত আটটার দিকে তার লাশ বাড়ির পাশে একটি কচুক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহত ওই শিশুর ভাই বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর ওই গ্রামের চারজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অভিযুক্ত মাজেদুর রহমান শিশুটিকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। শুক্রবার তাঁকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকার তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

তিনি আরও বলেন, জবানবন্দিতে মাজেদুর জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকেলে তাঁর লেবুক্ষেতের কাছে মেয়েটি আসে। তখন ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মেয়েটির গলার ওড়না ধরে টান দেন তিনি। এতে সে চিৎকার দিলে প্যাঁচানো ওড়না দিয়ে মেয়েটিকে হত্যার পর ধর্ষণ করে লাশ ফেলে রেখে চলে যান।