গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া আইনানুগ ছিল না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
হাইকোর্টে রায় পাওয়ার পর আদালত চত্ত্বরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, প্রায় ২০ মাস আগে আমাকে একটি চিঠি দিয়ে স্থানীয় সরকার সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট করি। শুনানি শেষে জানতে পারলাম আমাকে যে বরখাস্ত করেছিল, সেটি আইনানুগ ছিল না। সেটি অবৈধ ছিল। যেহেতু মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এখন আদালতের কিছু করার নেই। আমার জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে, তবু সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট ।
তিনি আরও বলেন, যদিও সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে আমার মা নির্বাচিত হয়েছেন। যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তারা যে মিথ্যাচার করেছে, তা গাজীপুর ও দেশবাসী আজকে জানতে পারল। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৬৬ হাজার জনপ্রতিনিধি আছে, তাদের জন্য ভবিষ্যতে মঙ্গল হবে। হঠাৎ করে কোনো কিছু করলে যে অনিয়ম হয়, এটিই তা প্রমাণিত হলো । আমাকে যেন কেউ ভুল না বুঝে । আমি সত্যের জন্য লড়েছি ।
এদিকে হাইকোর্ট আরও বলেছেন, জাহাঙ্গীর আলম পদত্যাগ করায় মেয়র পদে ফেরার আর সুযোগ নেই। পরে মামলা নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট করেন।
Development by: webnewsdesign.com