সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় ইউএনও প্রিয়াংকা পাল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জামালগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে উপজেলার পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। আয়োজনে জামালগঞ্জ উপজেলা সর্বস্তরের জনগণ। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, জেলা যুবলীগের সদস্য আবুল আজাদ, জামালগঞ্জ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ উপলক্ষ্যে জামালগঞ্জে ৬টি ইউনিয়নের বিঞ্জপ্তি ও ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামালগঞ্জের পেইজে নিয়মিত গণশুনানী বিষয়টি নোটিশ আকারে প্রচার করা হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক ভাবে প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে আনুষ্টানিক ভাবে গণশুনানী অনিষ্টিত হয়েছে। গণশুনানী প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কৃষক প্রতিনিধি, মৎস্য প্রতিনিধি, গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, সকল সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ, পাউবো কমর্কর্তা ও সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে পিআইসি গঠনের লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে পিআইসিদের কাছ থেকে উম্মুক্তভাবে দরখাস্ত আহবান করা হয়। দরখাস্ত পাওয়ার পর উপজেলা কমিটি দরখাস্তগুলো যাচাই বাচাই করে উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে পুর্ণরায় আলোচনার পর কাবিটা কমিটি ও উপদেষ্টা গণের যৌথ উদ্যোগে পিআইসি কমিটি চুড়ান্ত করে নোটিশ বোর্ডে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসের পেইজে প্রচার করা হয়।
সরকারি বিধি অনুযায়ী পিআইসিদের সাথে চুক্তি নামা করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। বর্তমানে ৬৯টি টিআইসিতর গড়ে ৫০% কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারী মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন করা হবে। গতকাল ২৮ জানুয়ারী মঙ্গবার দুপুরে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে জামালগঞ্জ পিআইসির অনিয়ম দূর্নীতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণ করার জন্য সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। ইহা একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাদের উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ার কারণে ৫০ লক্ষ টাকার অনিয়ম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণ করার দাবী জানান। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। ৬৯টি পিআইসির মধ্যে কোন পিআইসি হতে একটি পয়সা পর্যন্ত লেনদেন করা হয় নাই।
আমরা প্রকৃত কৃষক ও পিআইসি বটে। বাঁধের কাজে বাঁধা দেওয়া যাতে করে কৃষকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। আমরা সাধারণ কৃষক ও পিআইসি গণ যাতে করে সুন্দর ভাবে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ করতে পারি। এতে করে পানি উন্নয়ন বোড, কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটি সহ সকলের সহযোগীতা একান্ত ভাবে কামনা করি। আমরা উল্লেখিত তারিখের সংবাদ সম্মেলনকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনকারীদের শাস্তির দাবী জানাই। পরে শতাদিক বিশিষ্ট ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের স্বাক্ষরে জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি স্মারকলিপি ইউএনও অফিসে দাখিল করে ।
Development by: webnewsdesign.com