জাপান থেকে কোভ্যাক্সের অধীনে দ্বিতীয় চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় এই টিকার চালান নিয়ে নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি বিমান ঢাকায় পৌঁছায়।
এর আগে জাপানের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানটি টিকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
এই নিয়ে জাপানের কাছ থেকে ১০ লাখেরও বেশি ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।
গত ২৪ জুলাই দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ করোনার টিকা নিয়ে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে টিকার চালানটি গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো এই টিকা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
টিকা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীতে দেশে টিকার আর কোনো সংকট থাকবে না।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে আরও প্রায় ২৮ লাখ টিকা জাপান থেকে বাংলাদেশে আসবে।
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় প্রথম চালান হিসেবে জাপানের কাছ থেকে এই টিকা পেল বাংলাদেশ।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জাপান কয়েক ধাপে ২.৯ মিলিয়ন ডোজের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাঠাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশবাসীর জন্য টিকার অব্যাহত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয়ের পাশাপাশি কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন উৎস থেকে আরও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহের সুব্যবস্থা করেছে।
কোভ্যাক্স হচ্ছে একটি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সুষম সরবরাহ লাভের লক্ষ্যে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স -গাভি পরিচালিত একটি বৈশ্বিক জোট।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের চালান পৌঁছার খবর বাংলাদেশের জন্য একটি সুসংবাদ। কারণ এ মুহূর্তে ১৫ লাখ মানুষ অক্সফোর্ডের তৈরি এ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই) থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ১.২ কোটি ডোজ পেয়েছে।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) মারা গেছেন আরও ২১২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৬৭ জনে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন।
Development by: webnewsdesign.com