জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ন্যায়বিচারের পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্য মালদ্বীপ নিয়োগ দিয়েছে প্রথম সারির মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে। তিনি এর আগে সফলভাবে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন এবং জাতিসংঘ থেকে এই সিদ্ধান্ত আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন যে, নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের জন্য দেয়া জেল বেআইনি। আজ বুধবার মালদ্বীপ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকে চ্যালেঞ্জ জানানো আফ্রিকান মুসলিম দেশ গাম্বিয়ার সঙ্গে তারা যোগ দেবে। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন এনডিটিভি।
গত মাসে আইসিজের বিচারকরা সর্বসম্মত রায়ে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। তবে ওআইসির পক্ষে করা গাম্বিয়ার করা ওই মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায় দেয় নি আইসিজে। এতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
এমন সময় আমাল ক্লুনিকে আইনজীবী নিয়োগ করেছে মালদ্বীপ।
২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের পতনের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ও আরো কিছু ভিন্ন মতাবলম্বীকে নির্দোষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই আইনি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমাল ক্লুনি। বর্তমানে সেই মোহাম্মদ নাশিদ জাতীয় পার্লামেন্টের স্পিকার। এ দেশটির সরকার বলেছে, তারা মিয়ানমারের বিষয়ে আইসিজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। অন্যদিকে আমাল ক্লুনি বলেছেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিচার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত। জীবিত রোহিঙ্গাদের বিচার বিভাগীয় প্রতিকার দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবো সামনের দিনগুলোতে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ দোসররা। পুড়িয়ে মারা হয় জ্যান্ত মানুষকে। স্বজন, ছেলেমেয়ের সামনে ধর্ষণ করা হয় নারীকে। গুলি করে অকাতরে মানুষ হত্যা করে। পুড়িয়ে দেয় গ্রামের পর গ্রাম। ফলে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com