চুড়ামনকাটিতে মোস্তফার খুনের কারণ এখনো ধোঁয়াশা

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০ | ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

চুড়ামনকাটিতে মোস্তফার খুনের কারণ এখনো ধোঁয়াশা
apps

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা খুনের কারণ এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না। জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ গত তিন দিনে ৫ জনকে হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। আবার সন্দিগ্ধরা খুনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কিনা তাও বলছেনা পুলিশ। খুনের কারণ ও হত্যাকারীরা শনাক্ত না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। নিহতের স্ত্রী মামলায় কাউকে আসামি না করায় অনেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন। চুড়ামনকাটি গ্রামের ৪ জনকে আটকের পর সাধারণ মানুষের এমন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) চৌগাছা উপজেলার সলুয়া এলাকা থেকে পুলিশ একজনকে হেফাজতে নিয়েছে। তিনি পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এরআগে রোববার ও সোমবার দুই দিনে ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

তারা হলো চুড়ামনকাটি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সবজি বিক্রেতা বর্তমানে ঘোনা গ্রামে বসবাসকারী আব্দুল আহাদের দুই ছেলে চঞ্চল হোসেন ও আব্দুর রহমান, চুড়ামনকাটি জেলে পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে সজীব হোসেন এবং চুড়ামনকাটি গ্রমের উত্তরপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ। আব্দুর রহমানের কাছ থেকে নিহত গোলাম মোস্তফার ফোন উদ্ধার হয়। ফোনটি সে কুড়িয়ে পেয়েছে বলে পরিবারের দাবি। বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করেনি।

তবে কয়েকজনকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। খুনের মোটিভ উদঘাটনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয় নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে চাইনা। তবে গুরুত্বের সাথে তদন্তদ করা হচ্ছে। নিহত মোস্তফার স্বজনরা জানিয়েছেন, গোলাম মোস্তফা খুনের ঘটনা নিয়ে যেনো রাজনৈতিক নোংরা খেলা না করা হয়। অহেতুক কারো নামে অপপ্রচার করে হয়রানী না করারও অনুরোধ তাদের। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্বজনদের দাবি, প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

উল্লেখ, ২৪ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী কাজের উদ্দেশ্যে বের হন চুড়ামনকাটি ইউনয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সরদার পাড়ার পাঁচু মন্ডলের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২৫ অক্টোবর সকালে চুড়ামনকাটি-কাশিমপুর সড়কের ঘোনা গ্রামের চিত্ত বাবুর মেহগনি বাগানের দক্ষিণ পাশে বুড়ি ভৈরব নদ থেকে গোলাম মোস্তফার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

Development by: webnewsdesign.com