চীনের একটি বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি এক ছাত্র দেশে ফিরেছেন। গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি ভারত হয়ে দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাড়ী ফেরেন। তিনি দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের বাসিন্দা।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের (ওসি) রফিকুজ্জামান জানান, চীন থেকে ওই স্টুডেন্ট প্রথমে ভারতে আসেন। এরপর তিনি ভারত হয়ে গত শুক্রবার হিলি চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেন। তিনি সেখানকার চেঙ্গগঞ্জ জেলার ইয়ননান ইউনির্ভাসিটিতে পড়া-লেখা করতেন। চীনে করোনা ভাইরাস ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় তিনি নিজেকে নিরাপদে রাখতে দেশে ফিরে আসেন।
এদিকে উপজেলা ভারপ্রপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুছ সাঈদ জানান, ওই ছাত্র হিলি চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করলে সেখানে দায়িত্বরত মেডিকেল টিম থার্মোমিটার দিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তার শরীরে কোনো রকম কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি সুস্থ্য আছেন। তারপরেও তাকে তার বাড়ীতে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে ওই ছাত্রের নাম সহ পুরো ঠিকানা প্রকাশ না করার জন্য জানান তিনি।
ভারত থেকে দেশে আসা কয়েকজন পাসপোর্টযাত্রী জানান, চীনে রহস্যজনক ভাইরাসটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু চীনের পাশ^বর্তী দেশ ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান রয়েছে। একারণে অনেক বাংলাদেশি হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে ঘুরতে যাচ্ছে। হিলি চেকপোস্টে সতর্কতামুলক হিসেবে থার্মোমিটার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর নয়।
তাই থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শারীরিক স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করার ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া দরকার। তা না হলে ভাইরাসটি যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানাগেছে, চীনে এই পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রাণহানী ঘটেছে অন্তত ১১৫ জনের।
Development by: webnewsdesign.com