নোয়াখালীর চাটখিলে ফারজানা আক্তার লাবনী (২২) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ দাফনের ৬ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে আদালতের নির্দেশে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনির উপস্থিতিতে চাটখিলের নোয়াখলা গ্রাম থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশআও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত (১৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লাবনী ভাড়া বাসায় মারা যায়। সে তার স্বামী ফয়সাল হোসেনের চাকুরীর সুবাধে নোয়াখালী সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। গত ১৩ জুলাই লাবনী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করে তার স্বামী। এতে সুধারাম থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে।পরে লাবনীর অভিভাবকের আগ্রহে ময়না তদন্ত ছাড়া চাটখিলের নোয়াখলাতে লাশ দাফন করা হয়। স্থানীয়রা বলছে, নিহতের শরীরে নানা ধরনের নির্যাতনের দাগ ও ক্ষত চিহেৃর ছবি ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে আদালতে আবেদন করা হলে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে নির্দেশ দেয় আদালত।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন জানান,প্রথমে নিহতের পরিবার ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের জন্য আবেদন করে। ঘটনার ৫দিন পর নিহতের পরিবার মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করতে চাইলে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনির বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট করে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com