চরের মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদানসহ তাদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে আট দফা দাবি জানানো হয়েছে। রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী এনজিও ফোরাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স’র পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- করোনার ভয়াবহতা চরাঞ্চলে সেভাবে না পৌঁছালেও দারিদ্র যেন তার আগেই পৌঁছে গেছে। করোনার সাথে একাধিকবার বন্যা এসেও চরের মানুষের জীবনকে আরও তছনছ করে দিয়ে গেছে। ফলে চরের মানুষকে আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রাস্ত হতে হয়েছে। এর ওপর চরে উৎপাদিত সবজি ও ফসলের ন্যায্য দাম চরের কৃষকরা পাচ্ছেন না। কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় পর্যন্ত উঠছে না। তই চরের মানুষের সুরক্ষায় বিশেষ নজর ও বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- রাজশাহীসহ দেশের সকল চর এলাকাতে কোভিড ১৯ প্রেক্ষিতে চরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, চরের উইমেন হেডেড হাউজহোল্ডের জন্য ত্রাণ ও মাসিক আর্থিক ভাতা নিশ্চিত করা, চরের বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নিয়মিত ভাতা ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের কৃষক ও কৃষাণী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ০% সুদে কৃষিঋণ সহায়তা দেওয়া, চরে উৎপাদিত সকল কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সরকারের সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের নারী ও শিশুদের খাদ্যসহায়তা প্রদানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, চরের নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে, চরের মৌসুমী শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবি উত্থাপন করেন- ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম, এসকেএনএস আর নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এনসিএর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।