মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা নিতে সিলেট নগরে প্রতিদিনই ক্রমান্বয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রথম থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের তুলনায় চতুর্থ দিন সিলেটের টিকাদান কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মানুষের উপস্থিতি, ভিড় ও সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি করতে টিকা কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবক সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কর্মকর্তা বলছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের হিসেব অনুযায়ী গত তিনদিনে সিলেটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ৩ হাজার ৭৯৭ জন। যাদের মধ্যে গত রবিবার করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিন সিলেট নগরীর দুই কেন্দ্রে টিকা নেন ৫২৯ জন। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সিলেট নগরীতে দুই কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ২১৯ জন ও মঙ্গলবার সিলেট নগরীতে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা আগের দিনের তুলনার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মহানগরে তৃতীয় দিনে দুই কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৯ জন মানুষ করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
তিনদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত রবিবার করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিন সিলেট নগরীর দুই কেন্দ্রে টিকা নেন ৫২৯ জন। যাদের ৪৮৯ জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ও ৪০ জন নিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে।
গণটিকা কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সোমবার সিলেট নগরীতে দুই কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ২১৯জন। যাদের ১ হাজার ৬৯ জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ও ১৫০ জন নিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে। যাদের মধ্যে পুরুষ ৮৩৪ জন ও নারী ৩৮৫ জন।
এছাড়া মঙ্গলবার গণটিকা কর্মসূচির তৃতীয় দিন টিকা গ্রহীতার সংখ্যা আগের দিনের তুলনার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মহানগরে তৃতীয় দিনে দুই কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৯ জন মানুষ করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিয়েছে। যাদের ১ হাজার ৭৭৮ জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ও ২৭১ জন নিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে। যাদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৪০১ জন ও নারী ৬৪৮ জন।
এদিকে আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল নয়টা থেকে সিলেটের টিকাদান কেন্দ্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুথে বুথে ভ্যাকসিন প্রত্যাশীদের ভিড়ে জমতে থেকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। এছাড়া টিকা নেয়ার পর সুস্থ আর স্বাভাবিক থাকাতেই স্বস্তি ছিল সবার। সকলকে টিকা প্রদানের পর প্রাথমিকভাবে সবাইকেই রাখা হচ্ছে ৩০ মিনিটের পর্যবেক্ষণে।
এদিকে ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে টিকা গ্রহণে সবাইকে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যমর্কীরা। তারা আশা করছেন আগামী দিনগুলোতে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে। রেজিস্ট্রেশন করে যিনি আগে আসবেন তিনিই আগে টিকা নিতে পারবেন। নানাভাবে মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা।
বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-১০
Development by: webnewsdesign.com