চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার চাঞ্চল্যকর রুপন আচার্য্য (৩৫) হত্যার মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামী রুবেল জলদাশ (৩৫) এর গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না । আনোয়ারা থেকে শহরে গিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার পরও অবশেষে র্যাব-৭ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছে সে।
জানা যায়, আটক রুবেল জলদাশ উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা গ্রামের মৃত বাবুল জলদাশের ছেলে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) র্যাব-৭ এর একটি অভিযানিক দল চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজারস্থ সরকারী অফিসার্স কলোনীর জামে মসজিদ এলাকা হতে তাকে আট করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ সহকারি মিডিয়া পরিচালক নুরুল আবসার জানান, আনোয়ারায় কৈনপুরা এলাকার চাঞ্চল্যকর রুপন আচার্য্য (৩৫) হত্যার মামলা র্যাব-৭ ছায়াতদন্ত শুরু করে।
ছায়াতদন্তের এক পর্যায় র্যাব-৭ গোপন সংবাদের মাধ্যমে উক্ত মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী খুলশী থানাধীন লালখান বাজার এলাকা থেকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী র্যাবের নিকট উক্ত হত্যা মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
সে আরো স্বীকার করে যে, উক্ত মামলায় গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে আনোয়ারা থানা এলাকা হতে চট্টগ্রাম শহরে গা ঢাকা দিয়েছিল। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নগরীর খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৭ই এপ্রিল ভোরে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা জেলে পাড়া এলাকায় রূপন আচার্য্যর সাথে সাথে রুবেল দাশের পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রুবেলের লোহার চেইনের আঘাতে গুরুতর আহত হয় রুপন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রুপনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রূপন আচার্য্যের স্ত্রী সুভ্রা আচার্য্য বাদী হয়ে রুবেল জলদাশ (৩৫) এজহারভুক্ত করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-২১
Development by: webnewsdesign.com