ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর আটকে রেখে চাঁদা দাবি। আবার গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে। ভুক্তভোগী ট্রাক্টর গাড়ির মালিক রুমেল মিয়া উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের আব্দুল বাছির মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী রুমেল মিয়া জানান, গত ৫ মার্চ সকাল ৬ টার দিকে আমার মালিকানাধীন ট্রাক্টর নিজে চালাইয়া শাহবাজপুর যাওয়ার পথে যাদবপুর মোড় পাকা রাস্তার উপর পৌছিলে শাহিন, রাজু, তোতা, মানিক মিয়া ও রেহেনা বেগম রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি আটকে রেখে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অসম্মতি জানাইলে তাঁরা আমাকে গাড়ির ড্রাইভিং সিট হইতে টানা হেছড়া করে নামাইয়া কিল ঘুষি লাথি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। শার্টের পকেটে থাকা নগদ ১৯ হাজার টাকাসহ ট্রাক্টরটি ছিনাইয়া নিয়ে যায়। পরে আমি সরাইল থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করি। মামলা নং ২৫।
আরো পড়ুন: পুলিশ সপ্তাহ ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ভুক্তভোগীর দাবি, চাঁদাবাজ মানিক আমার গাড়ি আটকে রেখে ভুয়া কাগজ তৈরি করে গাড়ি মালিকানা দাবি করছেন বলে শুনেছি। আমি যেন তাদের দখল থেকে আমার গাড়িটি উদ্ধার করতে না পারি এই কারণে আমাকে হয়রানির করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া দ্রুত বিচার আইনে আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৬৩/২০২৪)। মামলায় রোমেলসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, গত ১৮ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ রাত ১টা ৩০ ঘটিকার সময় উপজেলার যাদবপুর গ্রামে তোতা মিয়ার পূর্ব ভিটির ঘরে আসামি রোমেলসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন প্রবেশ করে ভাংচুর ও টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আসামীগণ নিম্ন তফছিলোক্ত গাড়ি খানা জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিয়া ব্যার্থ হইয়া আইন শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাইয়া ত্রাশ সৃষ্টি করিয়া চলিয়া যাওয়ার সময় হুমকি প্রদান করেন যে, আসামীগণের দাবীকৃত চাঁদার টাকা প্রদান না করিলে গাড়িখানা ছিনাইয়া যাবে। মামলায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন দ্রুত বিচার আইন এর ৪/৫ ধারা উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী মানিক মিয়া সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মামলার সাক্ষী কামাল মিয়া সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করলে কথা বলার সম্ভব হয় নাই।
আরো পড়ুন: সরাইলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাত গ্রেপ্তার
এদিকে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সরাইল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নি:) ফারুক আহমেদ বলেন, আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com