গাজীপুর হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১:২৮ অপরাহ্ণ

গাজীপুর হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা
গাজীপুর হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা
apps

হাতে হাতকড়া আর পায়ে ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়ালেন মো. আলী আজম। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি গাছবাড়ী এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।

নিহতের স্বজনরা জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে গত রবিবার বিকেলে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শেষ বার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে তার আইনজীবী গত সোমবার তার প্যারোলে মুক্তি চায়। আদালত সেদিন তাকে মুক্তি না দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি পড়া অবস্থায় নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজার নামাজ পড়ান।

জানাজা চলাকালেও তার হাতে থাকা হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জানাজায় উপস্থিত লোকজন। সেই অবস্থায় একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ বলেন, মায়ের মৃত্যুর খবরে আলী আজমকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় জানাজার সময়ও তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি।

আলী আজমের ভাই আতাউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি জানাজার নামাজ পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বললেও পুলিশ খুলে দেয়নি। গত ২ ডিসেম্ভর একটি রাজনৈতিক মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, আলী আজমকে ৯ জন পুলিশ সদস্যসহ তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং জেল আইন অনুযায়ী তাকে পাঠানো হয়েছিল।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, তার মায়ের লাশ দেখতে আসলে তাকে আমরা প্রক্টেসন করে এনেছি। কিন্তু আসামির হাতকড়া আর পায়ে ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়, এটা জেল কোর্টের বিষয়।

Development by: webnewsdesign.com