গাজীপুরে প্রতারক তৈরির ফাঁদ..

বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০ | ২:২৮ অপরাহ্ণ

গাজীপুরে প্রতারক তৈরির ফাঁদ..
apps

মধ্যরাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দেয়া হয় জরুরি চাকরির বিজ্ঞাপন, যেখানে লোভনীয় বেতনের আশ্বাসসহ থাকে চাকরির শতভাগ নিশ্চয়তা। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের পর অফিসে যাওয়া মাত্রই হতাশাগ্রস্তদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ বাধ্য করা হয়। সম্প্রতি গাজীপুরে এমনই একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতারণার শিকার শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাকে বলা হয় ভালো একটা জব আছে। পদের নাম রিক্রুটিং অফিসার। এটার জন্য ১১ হাজার টাকা দিতে হবে। একেকজনকে একেকটা বলে। যাকে নেয় তাকে আবার প্রতারণার কাজে লাগিয়ে দেয়।’

চাকরির নামে প্রতারক বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নানা কৌশলের কথা বলছিলেন তাদের খপ্পরে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

তার মতো বহু শিক্ষিত বেকার গাজীপুর শহরের অলিতে গলিতে থাকা লোভনীয় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি শহরের কোনাবাড়ি এলাকায় এএস সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রতিষ্ঠান প্রধান ফরিদুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগী জুয়েল ও পারভেজকে। এ সময় তাদের ফাঁদে পড়া বেশ কয়েকজনের শিক্ষা সনদপত্র ও প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া অনেকেই তাদের কঠোর শাস্তিসহ অন্যান্য অফিসগুলোও বন্ধের দাবি জানান।

একজন বলেন, ‘গাজীপুরে এরকম যত চক্র আছে তাদের শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।’

আর সিকিউরিটি সার্ভিসের নামে‌ প্রতারক তৈরির এসব কোচিং সেন্টার খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

কোনাবাড়ী জোন-জিএমপি এসি থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, ‘৩ জনকে আটক করেছি। এদের থেকে আরো তথ্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করব।’

বিশ্বস্ততা অর্জনে মাঝেমধ্যে কাউকে কাউকে নামেমাত্র বেতনে সিকিউরিটির চাকরির ব্যবস্থা করত প্রতারকচক্রটি।

Development by: webnewsdesign.com