“গরীবের শীতের সম্বল, কাজিপুরের কম্বল”

বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ | ৬:৩৬ অপরাহ্ণ

“গরীবের শীতের সম্বল, কাজিপুরের কম্বল”
apps

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের শিল্পাঞ্চল বলে খ্যাত, চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলদাইড় বাজার। ব্যক্তি মালিকানায় এই বাজারে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারে প্রায় ২৫-৩০ টি কম্বল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কাজিপুরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বর্শিভাঙ্গা গ্রামের শরিফুল ইসলাম সোহেল ও আবু তালেব কম্বল ব্যবসা শুরু করেন।

সরেজমিন গিয়ে “শান্ত ট্রেডার্স” প্রোঃ আবু তালেব ও “মেসার্স সহীহ্ ট্রেডার্স” প্রোঃ শরিফুল ইসলাম সোহেল এর নিকট থেকে জানা যায়, তারা প্রথমে স্বল্প মূলধনে ঝুট ব্যবসার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ব্যবসার উন্নতি হওয়ায় ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে কম্বল ব্যবসা শুরু করেন। চিটাগাং, নারায়নগঞ্জ ও সাভার থেকে কাঁচামাল এনে কাট-ছাট করে বিভিন্ন রঙের ছোট, বড় ও মাঝারি আকারে কম্বল তৈরী করেন। তৈরীকৃত কম্বল আকার ভেদে ১০০-১৩০০ টাকায় বিক্রি করেন।

কাজিপুরে তৈরীকৃত কম্বল রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগের সব জেলায় ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায় বিক্রয় করে থাকে। কারখানা মালিক আবু তালেব এ প্রতিনিধিকে জানান, তার কারখানা থেকে প্রতিদিন ৫-৬ হাজার পিস কম্বল তৈরী করা হয়। তার কারখানা থেকে কাজিপুরের প্রায় ২৫-৩০ হাজার পরিবার ও শরিফুল ইসলামের কারখান থেকে ৮-১০ হাজার পিস কম্বল তৈরী করা হয় ও প্রায় ৩৫-৪০ হাজার পরিবার আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। শ্রমিক আশাদুল, রফিকুল, আমিনুল জানান, এখানে কাজ করে তারা দৈনিক ৬-৭ শত টাকা আয় করেন।

শরিফুল ও আবু তালেব তারা উভয়ই আরো জানান, ব্যাংক থেকে যে ঋণ গ্রহণ করেছেন তার সুধের হার বেশি হওয়ায় ব্যাংক ঋণ শোধসহ শ্রমিক মুজুরি পরিশোধ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। তারা পত্রিকার মাধ্যমে সরকারি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সহজ শর্তে ও স্বল্প সুধে সরকার তাদের ঋণের ব্যবস্থা করলে তাদের ব্যবসার পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে ও এলাকার গরিব, অসহায় ও দিন মজুররা কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

Development by: webnewsdesign.com