আগের দিন বুধবার (০৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। এরপর থেকে খোলা বাজারে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে কোনো কোনো মানি এক্সচেঞ্জার বিক্রি বন্ধ করেছে। আবার কোনো এক্সচেঞ্জে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন ও মতিঝিলের একাধিক মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। পুরানা পল্টনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনের মার্কেটে দেখা গেছে, এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো অন্য দিনের মতই সতর্কতার সঙ্গে ডলার ক্রেতা-বিক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পুরানা পল্টনে তিনটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ প্রতি ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সা বলে জানায়। দুই এক্সচেঞ্জ হাউজ প্রতিষ্ঠান জানায় তাদের কাছে কোনো ডলার নেই। পল্টনের বকাউল এক্সচেঞ্জ হাউজে খোঁজ নিলে বিক্রেতা নজরুল ইসলাম ক্যালকুলেটরে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা লিখে ডলারের দাম জানায়। তবে কতক্ষণ ডলার থাকবে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নিউট্রল মানি এক্সচেঞ্জ হাউজে একাধিক ডলার ব্যবসায়ী রয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে এক মালিক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলন, গত কাল পর্যন্ত ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেছি। সরকার ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করেছে, আমরা আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা করেছি। তবে অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জ জানান, তাদের কাছে ডলার নেই বা ডলার থাকলেও বিক্রি করতে তাদের সমিতির অনুমতি পায়নি। বিষয়টি নিয়ে পুরানা পল্টনের চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক মুস্তাফিজ বাংলানিউজকে জানান, তারা গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ডলারে বিক্রি করেছে। সকালে এসে বিক্রি শুরু করতেই আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা পান। এ কারণে ডলার বিক্রি বন্ধ। মেক্সিকো মানি এক্সচেঞ্জের মালিক জানান, আপাতত ডলার নেই। হাতে এলে কেনা দাম বুঝে বিক্রি দাম জানানো হবে। পুরানা পল্টন ও মতিঝিলের অধিকাংশ দোকান ক্রেতার ধরন বুঝে ডলারের দাম বলছে।উল্লেখ্য, এক বছরের বেশি সময় ধরে ডলারর দাম বাড়ানোর পর সর্বশেষ ১১০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। খোলা বাজারে ১২৫ টাকা উঠার পর প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এরই মধ্যে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলারের দাম ১১৭ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়।
Development by: webnewsdesign.com