কয়েক বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছিল। কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আবারও একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন কমলকান্ত ও তার স্ত্রী। এর কিছুদিন পরই পেটের অসুখে ভুগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই ব্যক্তি। এরপরই স্বামীর খাবারে প্রতিদিন একটু একটু করে বিষ দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে।
ইতোমধ্যেই চক্রান্ত করে কমলকান্তকে বিষ মিশিয়ে ধীরে ধীরে খুন করার অভিযোগে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই প্রকাশ্যে আসে এই চক্রান্তের কথা। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী কবিতার সঙ্গে তার কয়েক বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল কমলকান্তের। কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরে আবারও তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কমলকান্তের ছোটবেলার বন্ধু হিতেশের সঙ্গে কবিতার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে পেটের অসুখে ভুগে মৃত্যু হয় কমলকান্তের মায়ের। তার পরপরই দেখা যায় তারও পেটের অসুখ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পান, কমলকান্তের রক্তে আর্সেনিক এবং থ্যালিয়ামের পরিমাণ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেশি। এ কারণে গত ১৯ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরপর মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তদন্তে নামে। গ্রেপ্তার করা হয় কমলাকান্তের স্ত্রী কবিতা এবং তার প্রেমিক হিতেশকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকাশ্যে আসে এই চক্রান্তের কথা। কবিতা জানান, তিনি স্বামীর খাবারে প্রতিদিন একটু একটু করে বিষ মিশিয়ে দিতেন। তবে কমলাকান্তের মায়ের মৃত্যুতেও তাদের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Development by: webnewsdesign.com