খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে বাবা-মেয়ে এসএসসি পাসে এলাকায় খুশির জোয়ার

বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২ | ২:৩১ অপরাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে বাবা-মেয়ে এসএসসি পাসে এলাকায় খুশির জোয়ার
খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে বাবা-মেয়ে এসএসসি পাসে এলাকায় খুশির জোয়ার
apps

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে বাবা-মেয়ে একসঙ্গে এসএসসি পাস করায় এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে। মেয়ে সুমাইয়া বিনতে শাহজাহান এবার এসএসসি পরীক্ষায় উল্টাছড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৬১ পেয়ে পাস করেছে। একই সঙ্গে বাবা মো. শাহজাহান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.০৯ পেয়ে এসএসসি পাস করেছে।

জানা যায়, শাহজাহান পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলেরচালক। পরিবারে তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে সুমাইয়া বিনতে শাহজাহান (শ্রাবন্তি) এবার এসএসসি পরীক্ষায় উল্টাছড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৬১ পেয়ে পাস করেছে। একই সঙ্গে সেও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.০৯ পেয়ে এসএসসি পাস করেছে। তার তিন ছেলে রয়েছে। এরমধ্যে অভি সপ্তম শ্রেণি, আমিন দ্বিতীয় শ্রেণি ও আলিম প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

সোমবার এসএসসির ফল প্রকাশ হলেও বাবা-মেয়ের একসঙ্গে পাসের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়নি। এরপর মঙ্গলবার বাবা-মেয়ের পাসের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকে মিষ্টি নিয়ে তাদের অভিনন্দন জানাতে আসেন।

এ বিষয়ে সুমাইয়া জানায়, আমার বাবা আমার আদর্শ। বাবা আমাকে যেমন লেখাপড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে তেমনি সার্টিফিকেট পেতে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন।বর্তমান সময়ে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সার্টিফিকেটও (সনদ) থাকতে হয়। আমি ও আমাদের পরিবারের সবাই বাবার এই সফলতায় আনন্দিত।

মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পাসের অনুভূতি জানিয়ে মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি সংসারের অভাব অনটনে জীবন জীবিকার তাগিদে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। নানা পেশায় জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে এক সময় ভূমি পরিমাপ শিখি। অন্যের ভূমি মেপে হিসাব করে দেয়ার জন্য প্রায়ই ডাক পড়ে। সার্টিফিকেট হলে ভূমি মাপার আমিন প্রশিক্ষণ নিতে পারি। তাই পরীক্ষা দিয়েছি। আগামীতে আমিনশিপ পরীক্ষা দেব আশা করছি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবুল হাসেম হাসু বলেন, বাবা-মেয়ের এসএসসি পাসের খবরে তাদের অভিনন্দন জানাতে গেছি। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার কোনো বয়স নাই। শাহজাহান একজন পরিশ্রমী মানুষ। আমি তাদের সফলতা কামনা করছি।

Development by: webnewsdesign.com