সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় নিহত এক শ্রমিকের মৃত্যু পর লাশ গুমের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে বিজিবির সহায়তায় লাশের সন্ধান পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। হতভাগ্য পাথর শ্রমিক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মো: আব্দুলের পুত্র তানভির হোসেন (২৭)। পরে নিহত পাথর শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিন্তু গর্তের মালিক শাহ আরফিন টিলার আঞ্জু মিয়া এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। আঞ্জু মিয়া নিজের উপর থেকে দায় চাপা দিতে গর্তের মালিক হিসাবে নিজেকে অস্বিকার করছেন। এখনো আঞ্জু মিয়াকে রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শাহ আরফিন টিলায় আঞ্জু মিয়ার গর্তে ঝুকিঁপূর্নভাবে পাথর উত্তোলনের সময় উপর থেকে পাথর টিলা ধসে চাপা পড়ে নিহত হয় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মো. আব্দুলের পুত্র তানভির হোসেন (২৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টিলা ধসে শ্রমিক নিহতের ঘটনা গর্তের মালিক আঞ্জু মিয়া পুলিশকে না জানিয়ে লাশ গুম করে নিহতের স্থানীয় বাড়ি দিরাইয়ে দাফনের চেষ্টা করলে দিরাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তড়িৎ পদক্ষেপে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহ আরফিন টিলায় আঞ্জুর মালিকানাধীন গর্তে নিহত শ্রমিকের লাশ গুমের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে নিহতের লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং গর্তের শ্রমিক সর্দার হান্নান (৪০) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গর্তের মালিক আঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
Development by: webnewsdesign.com