জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের একটি কোচিং সেন্টারের কক্ষ থেকে মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মিজবাহ উল আজিম। তিনি ২০১৭-১৮ সেশনের (১৩ তম ব্যাচ) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
উদ্ধার করার পর রোববার রাতেই মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মিজবাহর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়া। সেখানেই তার দাফন হবে।
যে কোচিং সেন্টার থেকে মিজবাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি তার বড় ভাইয়ের। আরও দুই সহকর্মীর সঙ্গে কোচিং সেন্টারটির একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। মিজবাহকে না পেয়ে তার কক্ষ ধাক্কা দিয়ে খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সহকর্মীরা।
উত্তরা পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহিন আল রশিদ জানান, ‘মরদেহটি কক্ষের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে লাইলন রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা মরহেদ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দীতে নিয়ে আসছি। নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি খবর নিয়েছি। উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পোস্টমর্টেমের পাঠানো হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। সে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বানাড়িপাড়ায়।’
এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com