নানা আয়োজনে কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে পৃথক শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে। পরে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হয়।
এত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেন।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীর প্রতীক আব্দুল হাই, সাবেক জেলা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, উপজেলা কমান্ডার আব্দুল বাতেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক।দিবসটি পালন উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১’র এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমনে পাক সেনাদের হটিয়ে মুক্ত হয় কুড়িগ্রাম। এদিন স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এ জেলায় সেদিন উদিত হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। বিজয়ের সেই দিনে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারন মানুষ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কুড়িগ্রাম ছিল ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন মুক্তাঞ্চল রৌমারীতে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন ক্যাম্প। ৬ নং সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে পাক সেনাদের হটিয়ে একে একে মুক্ত করে ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুর। এরপর পাক সেনারা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে কুড়িগ্রাম শহরে। ৫ ডিসেম্বর হাই বাহিনী তিন দিক থেকে পাক সেনাদের ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামাল হয়ে পালিয়ে যায় পাক সেনারা। মুক্ত হয় কুড়িগ্রাম।
Development by: webnewsdesign.com