আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাষ্ট্রীয় ইমেজ ব্যবহার মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে কৌশলে শহীদ মিনার নির্মাণ কুষ্টিয়ায় জোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা ও তার শরীকদের জমি দখল করে শহীদ মিনার নির্মানের অভিযোগ উঠেছে বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কৌশলগতভাবে জমি হাতিয়ে নিতে রাষ্ট্রীয় ইমেজ ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে। অদৃশ্য প্রভাব খাটিয়ে অবৈধকে বৈধ করতেই এমন পরিকল্পনা। বিদ্যালয়টির নিজেস্ব জায়গা থাকলেও শহিদ মিনারটি তৈরী করা হচ্ছে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার জায়গার উপর।
জমি দখলের এমন কৌশল এর আগে কখনও ঘটেনি। সুশিল সমাজ মনে করছেন রাষ্ট্রীয় ইমেজ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে জমি দখলের পথ সুগম করলো একটি মহল। এটা এখনি প্রতিহত করতে না পারলে এমন ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানেও ঘটতে পারে। সুত্রে জানা যায়, জমি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবুও থামেনি দখল দারিত্ব। অবৈধভাবে দখলকৃত জমি পাকাপোক্ত করতে আবার নির্মান করা হচ্ছে শহীদ মিনার।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি। ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা ও তার শরীকদের জমি দখলের ঘটনায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। মামলা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর থানাধীন বাঁশগ্রাম মৌজার এস এ ১৩৮ নং খতিয়ানের ২৪ নং দাগের .২৫ একর জমি সহ মোট ৪.০৯ একর জমি আব্দুস সালাম, আফসার উদ্দীন, আব্দুল মজিদ ও সাইদুর রহমানের। গত ২৬ জুলাই ২০১৪ ইং তারিখে .১৬ একর জমি জোরপূর্বক দখল করে বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নিজেদের সম্পত্তি দখলদারদের হাত থেকে বাঁচাতে আদালতের স্মরনাপন্ন হয় ভুক্তভোগীরা। যে মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এমনকি গত ২১ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে স্থিতীবস্থা বজায় রাখার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। তবুও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দখলকৃত জমি পাকাপোক্ত করতে নির্মান শুরু করা হয়েছে শহীদ মিনার। এ বিষয়ে মামলার বাদী ও ওয়ারেশ সূত্রে জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম রেজা জানান, আমাদের সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখল করে রাখা হয়েছে। আমরা আদালতে মামলা করেছি, মামলা চলমান রয়েছে এবং এই জমির উপর আদালতের নিষেজ্ঞাও রয়েছে। তবুও প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থায়ী দখলের উদ্দেশ্যে জমির উপর শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা এই সকল দখলদারদের শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
ওয়ারেশ সূত্রে জমির মালিক আসিব ইকবাল বলেন, জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এই জমির দখল পাকাপোক্ত করতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা এর ক্ষতিপূরণসহ দোষীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে মামলার বিবাদী বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি রাজি হননি।
Development by: webnewsdesign.com