কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা সদরপুর ইউনিয়নে কাতলামারী মধ্যপাড়া গ্রামে বুধবার দুপুরে এই বলৎকারের ঘটন ঘটে। বলৎকারের শিকার স্কুল ছাত্র একই ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের আনারুল মন্ডলের ছেলে ও ব্র্যাক স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বলাৎকারের শিকার শিশু তাদের পাশের বাড়ির সিদ্দিক মণ্ডল ছেলে তরিকুল ইসলাম (২২) পুকুর পাড়ের আম ও কাঠাল বাগানে বেড়াতে নিয়ে যায়। বলাৎকারের শিকার শিশুটি পাশের বাড়ির সিদ্দিক মণ্ডল লম্পট ছেলে তরিকুল ইসলাম (২২) শিশুটিকে বাগানের ভেতরে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পাশবিক ভাবে বলৎকার করে। শিশুটিকে বলে তুই যদি এই কথা তোর বাড়িতে বলিস তোকে খুন করবো।
ঘটনার পর বিষয়টি ভিকটিম শিশু তার পরিবারে সদস্যদের অবহিত করলে পরিবারের লোকজন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।
এ ঘটনার কোনো সুষ্ঠ সমাধান না পাওয়ায় এবং বলাৎকারের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে তার অভিভাবকরা মিরপুর থানা পুলিশের কাছে যান। পরে পুলিশ ঘটনাটি নোটভুক্ত করে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম কে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে শিশুটির পরিবারকে আশ্বস্ত করে। বলাৎকারের শিকার শিশুকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসার ও বলাৎকারের নমুনা জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল পরীক্ষার জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মিরপুর থানা পুলিশ তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেন।
বলাৎকারের শিকার শিশুর পিতা আনারুল শেখ বলেন, তিনি বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বলৎকারে শিকার শিশুটির মা বলেন আমরা গরীব তাই এলাকাতে কোন বিচার পায় নাই তাই বাধ্য হয়ে থানায় গিয়েছি আমাদের বাড়ির উপর এসে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদান করছেন আমার ছেলে চক্ষুলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না আজ তিন-চারদিন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
ভিকটিমের বড় চাচা অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকালে আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে কে জোরপূর্বক বলৎকার করেছে লম্পট তরিকুল ইসলামএ ব্যাপারে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার দিলে সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারি নাই, এবং তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়া বিষয়টি সমাধান করা দুরের কথা উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করেন। এমনকি গত বুধবার বিকেলে আমার ভাইয়ের বাড়ির উপর সিদ্দিক মণ্ডলে লোকজন এসে মারধর করেন এবং হুমকি-ধামকি প্রদান করে যাচ্ছেন লম্পটে পিতারা বাধ্য হয়ে আমার ভাই থানা পুলিশের নিকট গিয়েছে। আমি মাননীয় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান শিশু বলাৎকারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরর হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসার শেষে তার পিতার নিকট দেয়া হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com