কুষ্টিয়া ফাতেমা হত্যা মামলা অধিক তদন্তের দাবি পরিবারের

শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ | ৩:১১ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়া ফাতেমা হত্যা মামলা অধিক তদন্তের দাবি পরিবারের
apps

কুষ্টিয়ায় ৯ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমা (১৪) হত্যার ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলণ করেছে নিহত ফাতেমার পরিবার। শুক্রবার (১৬ জুলাই) আনুমানিক সময় ১২.৩০টায় মিরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ফাতেমার পিতা সাইফুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্রুত মামলার প্রধান আসামী আপন (১৮) কে গ্রেফতার করায় আমরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আমাদের ধারণা যে নৃশংশভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে তা একজন মানুষের একার পক্ষে সম্ভব না। এছাড়া পুলিশের দেওয়া ঘটনার বিবরণেও আমাদের আপত্তি রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেম ঘটিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ খুনির পরিবারের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিলো না।

তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় পুলিশ কোন অদৃশ্য কারণে এই মামলার মুল ঘটনাকে আড়াল করছে।এজন্য আমি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যাতে এ ঘটনার সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলণে মেয়ের চাচা খন্দকার সোহেল রানা, খন্দকার মাহাফুজুর রহমান, মামা মতিয়ার হোসেন রাজু, দাদা মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্যঃ গত বুধবার (১৪ জুলাই) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা নামক স্থানের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী উম্মে ফাতেমা এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ঐদিন রাতে মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর পৌরসভার কুরিপোল মধ্যপাড়া মহল্লার রংমিস্ত্রি মিলনের ছেলে ও আমলা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী আপন নামের এক কলেজ ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেয়।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলণে উল্লেখ করেন, মুলতঃ বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকা কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চাকু এবং গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।

এদিকে নিহতের মরদেহের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক সুতাপ রায় জানান, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি তার শরীর পোড়ানোও হয়েছে। গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল। কিশোরীকে ধর্ষণও করা হয়ে থাকতে পারে। কিছু বিষয় লক্ষ করা গেছে।

Development by: webnewsdesign.com